শোরুমে ক্রেতাদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
শ্রীরামপুরের একটি শোরুম থেকে মোটরবাইক কিনে বেশ কয়েক জন ক্রেতা বিপাকে পড়েছেন। নথি বা গাড়ির নম্বর মেলেনি। কর্তৃপক্ষ আবার হিসেব করে দেখেছেন, বাইক বিক্রির টাকা অ্যাকাউন্টে জমাই পড়েনি। ম্যানেজার-সহ তিন কর্মী ওই টাকা আত্মসাত করেছেন বলে শোরুমের তরফে মঙ্গলবার শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ধৃতদের নাম সাবির খান এবং জিতু ওঝা। সাবির ছিলেন শোরুমের ম্যানেজার। জিতু সহকারী। দু’জনেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত মুকেশের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে ওই শোরুম থেকে মোট ২২টি বাইক বিক্রি বাবদ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লোপাট হয়েছে বলে শোরুম কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। যে সব বাইক নিয়ে অভিযোগ, সেগুলি আটক করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বেকায়দায় পড়ে শুক্রবার ক্রেতাদের একাংশ শোরুমে বিক্ষোভ দেখান। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের তর্কাতর্কি চলে। পুলিশ আসে। এক কর্মী বিক্ষোভকারীদের জানান, তাঁরা গাড়ি কিনেছেন, এমন কোনও তথ্য শোরুমে নেই।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, কাঁচা রসিদেই গাড়ি কিনেছিলেন ওই ক্রেতারা। জিএসটি বিল নিয়ে, রেজিস্ট্রেশন করিয়ে শোরুম থেকে বাইক বের করা উচিত ছিল। ওই পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, তাদের জিম্মায় থাকা খাতা মিলিয়ে ক্রেতাদের থেকে ১৪টি বাইক থানায় আনা হয়েছে। বাকি বাইকগুলির খোঁজ চলছে।’’
এক ক্রেতা জানান, বাইক কেনার রসিদ ভুয়ো বলে পুলিশ জানিয়েছে। সারথি মুখোপাধ্যায়, জগবন্ধু পাল, আদিত্য ঘোষের মতো কয়েকজন ক্রেতার বক্তব্য, ‘‘আমরা নগদ অথবা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকা মিটিয়েছি। শোরুম থেকে রসিদ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থানা থেকে ফোনে বলা হয়, গাড়ি কেনার পদ্ধতিতে গোলমাল আছে। গাড়ি থানায় আটকে রাখা হল। দ্রুত কাগজপত্র ঠিক করে আমাদের গাড়ি দেওয়া হোক। না হলে টাকা ফেরত দেওয়া হোক।’’ আর এক ক্রেতা, কলেজ-শিক্ষক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের কী দোষ? টাকা দিয়ে শোরুম থেকে বাইক কেনার পরেও এই হয়রানিতে পড়তে হবে কেন?’’
শোরুমের মালিক অভিনব আগরওয়াল বলেন, ‘‘সংস্থার অডিটে জালিয়াতি ধরা পড়ে। সাবির, জিতু, মুকেশ তিন জনই শোরুমের দীর্ঘদিনের কর্মী। ওদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করি।’’ অভিনবর দাবি, ‘‘যাঁরা গাড়ি কিনেছেন বলছেন, তাঁদের কাছে এর বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই। কর ও বিমার টাকা দেননি। যে রসিদ তারা দেখাচ্ছেন, তা নকল। গাড়িগুলো শোরুমে না পাওয়ায় আইনের দ্বারস্থ হই। আইন মোতাবেক যা নির্দেশ হবে, মেনে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy