চালু হওয়ার পথে চণ্ডীতলার কলাছড়া টোলপ্লাজ়া। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় সড়ক দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে টোলপ্লাজ়া রয়েছে হুগলির ডানকুনিতে। আর কোনও সড়কে টোল দিতে হয় না এই জেলায়। এ বার হবে। হুগলির তিন রাজ্য সড়কে টোল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। ওই তিন রাজ্য সড়ক অর্থাৎ দিল্লি রোড, অহল্যাবাই রোড এবং অসম লিঙ্ক রোডে যাতায়াত করতে হবে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে।
প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, টোলের অর্থে ওই সব সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কারের কাজ সহজ হবে। ঝুঁকিহীন, উন্নত পরিষেবা মিলবে। তবে, কোন গাড়ির ক্ষেত্রে কত টাকা নেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘টোল চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। কোন সড়কে টোলের হার কী হবে, সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় চূড়ান্ত করার পর্যায়ে আছে। তা স্থির হলেই টোল ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে হুগলির তিনটি ভিন্ন জায়গায় তিন রাজ্য সড়কে।’’
অহল্যাবাই রোডে চণ্ডীতলার কলাছড়ায়, দিল্লি রোডে শ্রীরামপুর ও বৈদ্যবাটীর মাঝে পিয়ারাপুরে এবং অসম লিঙ্ক রোডে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের সীমানা ঘেঁষা জায়গায় টোল ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কয়েক বছর আগে হুগলিতে এই তিন সড়ক আমূল সংস্কার করে রাজ্যের পূর্ত দফতরের হাইওয়ে বিভাগ। অহল্যাবাই রোডে চণ্ডীতলা থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ‘লে-বাই’ (ট্রাক দাঁড়ানোর জায়গা) তৈরি করা হয়েছে। কারণ, ওই পথে আরামবাগ হয়ে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূম থেকে প্রচুর বালি, পাথর, মোরাম বোঝাই ট্রাক আসে। পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময়ের কারণে রাতে নিবেদিতা সেতু হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় সেই সব ট্রাক
ঢুকতে পারে না। সেই কারণে চণ্ডীতলার কাছে অহল্যাবাই রোডে শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকত।
তাতে যানজট হত। দুর্ঘটনাও ঘটত আকছার। তার জেরে অনেক সময়ই বাসিন্দাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং তা থেকে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হত। লে-বাই তৈরি হওয়ায় সেই সমস্যা মিটেছে।
প্রশাসনের একটি সূত্রের, বহু টাকা খরচ করে ঝকঝকে রাস্তা এবং পরিকাঠামো তৈরির ফলে চলাচল অনেক মসৃণ হয়েছে। গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করেই শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক দিব্যি দাঁড়াতে পারছে ‘লে-বাই’তে। পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও নেহাত কম নয়। সেই কারণে রাস্তা সংস্কারের সময়েই কলাছড়ায় টোলপ্লাজ়ার পরিকাঠামোর তৈরি করা হয়। কিন্তু কোনও কারণে টোল চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সেই সময় রাজ্য সরকার পিছিয়ে আসে। একই ভাবে দিল্লি রোডেও পিয়ারাপুরে টোলপ্লাজ়ার পরিকাঠামো তৈরি করেও তা চালু করা হয়নি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘দিল্লি রোডে পিয়ারাপুরের কাছে তারকেশ্বর শাখার রেল লাইনের উপরে সেতু জোড়ার কাজ দীর্ঘদিন বকেয়া ছিল। ফলে, ওই পথে পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াতে সমস্যা ছিল। কিছু দিন আগেই ওই সেতু চালু হয়ে গিয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে আর সমস্যা নেই। এ বার তাই টোল ব্যবস্থা চালুর পথে এগিয়েছে রাজ্য সরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy