তালাবন্ধ গোঘাটের হাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোঘাট-২ ব্লকের হাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে গ্রামবাসীরা অনেকে সরব ছিলেন। একই অভিযোগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় তালা পড়ল স্থানীয় দেবখণ্ড গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে।
দুর্নীতিতে প্রশ্রয়ের অভিযোগ তুলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। হুমকি এবং দলীয় কার্যালয়ে তালা মারা নিয়ে দলেরই অঞ্চল নেতা শেখ মইদুল হক, শেখ ইদ্রিশ আলি-সহ চার জনের বিরুদ্ধে শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মির আফসার আলি। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযুক্তদের পক্ষে মইদুল বলেন, “সব নতুন পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সামনে লোকসভা ভোটের আগে যখন দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে আমরা এক পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছি, তখন দলের ক্ষমতাশালী অংশ দুর্নীতি করেই চলেছে। সেই সব দুর্নীতি রোখার আবেদন নিয়েই আমরা স্থানীয় সদস্য এবং পঞ্চায়েতে যাই। কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি।” দলীয় কার্যালয়ে তালা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমরা শুক্রবার তালা দিলেও শনিবার সন্ধ্যায় তা খুলে দিই। ফের কে তালা মেরেছে আমাদের জানা নেই।”
মইদুলদের অভিযোগ, বোর্ড গঠন চলাকালীন ফের নামোপাতায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার গাছ কাটা হল। তার একটা টাকাও পঞ্চায়েতে জমা পড়েনি। সম্প্রতি দেবখণ্ড গ্রামের এক ব্যক্তি মালিকানা পুকুরের গাছ বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ করে পঞ্চায়েতে গেলে তাঁকে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন তহবিল ছাড়াও অঞ্চল সভাপতির নির্দেশে দলীয় তহবিলে টাকা দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, অঞ্চল সভাপতি মির আফসার বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। নতুন অঞ্চল কমিটি নিয়ে কয়েক জন ক্ষোভ আছে। তাঁরা এ সব করছেন।’’ পঞ্চায়েত প্রধান সৌরভ মণ্ডল বলেন, “আমি প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আগের বোর্ডের শেষ সময়ে যে গাছ কাটার টাকা জমা না পড়ার অভিযোগ উঠেছে। তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
সমস্ত বিষয় নিয়ে তৃণমূলের গোঘাট-২ ব্লক সভাপতি অরুণকুমার কেওড়া বলেন, “নিজেদের মধ্যে সমস্যা হয়েছে বলে জেনেছি। সব পক্ষকে এক সঙ্গে বসে দ্রুত মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত বোর্ড থেকেই গাছ কাটার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে এখানে। কাটা গাছ আটকে দলীয় নেতা বা খোদ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ তুলে একাধিক বার প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় মানুষ। গত মে মাসে বৈধ অনুমতি এবং দরপত্র ছাড়াই স্থানীয় দাদপুর ভীমতলা সংলগ্ন ক্যানাল পাড়ের কয়েকশো গাছ কাটার অভিযোগে বন দফতর তৎকালীন প্রধান সুলেখা ঘোষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy