রোগা হওয়ার জন্য গ্রীষ্মকালই সেরা সময়। সোমবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ে বৈঠক করে মন্তব্য তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গরমকালে কেমন খাওয়া-দাওয়া করলে সুস্থ থাকা যাবে, সেই পরামর্শও দিলেন হুগলির সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‘রোগা হওয়ার জন্য ‘বেস্ট’ (সেরা) হল গরমকাল। রোজকার খাবারের তালিকায় শরবত, ফল, দই রাখুন।’’
প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন রচনা। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কিছু করা আমার প্রাথমিক কাজ। আমার সংসদ এলাকার হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন করব। তবে চিকিৎসকের অভাব আছে। সেটা কী ভাবে দূর করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ‘সেবাশ্রয়’-এর মতো প্রকল্প এনেছেন। রচনা কি এমন কিছু ভাবছেন? হুগলির সাংসদ জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ‘আইকন’ এবং তাঁদের কাছে ‘গাইড’। তিনিই বাকিদের পথ দেখাচ্ছেন। রচনার কথায়, ‘‘উনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। দিশা দিচ্ছেন। সেই পথ হয়তো আমরা অতিক্রম করতে পারব না, কিন্তু তার সিকি ভাগও যদি করতে পারি, সেটাও অনেক। নিশ্চিত ভাবে তিনি একজন ‘গাইড।’’’
বস্তুত, হুগলি জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবায় পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন রচনা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে হুগলিতে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা আরও বাড়াবেন। হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়বে। পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। রচনার সংযোজন, ‘‘কিন্তু ডাক্তার না থাকলে সবটাই ফিকে হয়ে যাবে। ডাক্তারই আসল। সেই মানুষদেরই দরকার।’’
আরও পড়ুন:
এর পর রচনা চলে যান ডায়েট সংক্রান্ত পরামর্শে। তিনি বলেন, ‘‘গত বার যখন প্রচার করেছি, তখন খুব গরম ছিল। এখনও সেই গরম পড়েনি। তবে ২০২৬ সালের নির্বাচনের সময় গরম বাড়বে। তখন লরি, জিপে ঘুরতে হবে। আরও গরম পড়তে পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘গরমকাল রোগা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। রোগা হওয়ার জন্য শরবত, ফল, দই খান। মনে আনন্দ রাখুন। শরীর, মন সব ঠিক থাকবে।’’