রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শনিবার কার্তিক পুজো। শুক্রবার হুগলি সফরে এসে জেলাবাসীকে জগদ্ধাত্রী পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর সময় তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমার বাড়িতে কখনও কার্তিক পুজো হয়নি। কেউ কার্তিক ফেলেওনি।’’ হাসতে হাসতে তৃণমূলের তারকা সাংসদ আরও বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে যে কার্তিক (রচনার পুত্র) আছে, সে নিজের পুজোর ব্যবস্থা নিজে করে নেবে।’’
শুক্রবার বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠান হচ্ছিল হুগলির পোলবা দাদপুর ব্লকের কৃষি খামার প্রাঙ্গণে। সেখানে উপস্থিত হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা, আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ, ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, জেলাশাসক মুক্তা আর্য থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, গ্ৰমীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন মূল মঞ্চ থেকে নেমে আসেন রচনা, মিতালি, অসীমারা। আদিবাসী রমণীদের হাত ধরে বাজনার তালে নাচেন বিধায়ক এবং সাংসদেরা। পরে রচনা বলেন, ‘‘জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে কখনও চন্দননগরে আসা হয়নি। এ বার জেলায় মোট তিন জায়গায় পুজোয় গিয়েছি। তবে আগামী বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগেরই তিন দিন থাকব।’’ সাংসদ জানান, শুক্রবার তাঁর ঢালাও কর্মসূচি রয়েছে। ছট পুজো উপলক্ষে ভদ্রেশ্বরের একটি জায়গায় যাবেন। তাই এ বার বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজোয় যাওয়া হবে না। তখনই রচনা বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে কোনও দিন কার্তিক পড়েনি।’’
তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, হুগলি জেলার কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকগুলো আলোচনা হয়েছে। একটি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হুগলি জেলায় ক্রীড়াঙ্গন তৈরিতে জোর দেবেন তাঁরা। রচনা বলেন, ‘‘জেলার উঠতি ট্যালেন্টদের জন্য বেশ কিছু ভাবনা রয়েছে। জেলার যুবক-যুবতীদের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগের কথা ভেবেছি। জেলাশাসকের সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ব্যবস্থা সম্পর্কিত একটি বৈঠক হয়েছে। আগামিদিনে সংসদে এ নিয়ে কথা বলতে হবে।’’ রচনা জানান, এক দিকে তাঁর ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শুটিং, অন্য দিকে সাংসদের কাজকর্ম, বড্ড বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এখন। রচনা বলেন, ‘‘তবে আমি তড়বড় করছি না। প্রতিনিয়ত শিখে চলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy