(বাঁ দিকে) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। (ডান দিকে) সোহিনী সরকার। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, আরজি করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২২ বছরের বিক্রম ভট্টাচার্যের। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেন ‘জাস্টিস ফর কোন্নগর’ (কোন্নগরের জন্য বিচার)। তাঁর যুক্তি, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার যেমন দরকার, তেমনই ওই হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া যুবকের জন্য বিচার প্রয়োজন। শ্রীরামপুরের সাংসদের এই মন্তব্যের পর তাঁকে দলীয় পতাকা ছাড়া আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। পর্দার সত্যবতী উত্তরপাড়ায় ‘রাত জাগো’, স্ট্রিট পেন্টিং এবং মশাল জ্বালো কর্মসূচিতে এসে জানালেন, সবার জন্য বিচার চেয়ে পথে নামছে নাগরিক সমাজ। কোনও এক জনের জন্য এই আন্দোলন নয়।
শুক্রবার হুগলির কোন্নগরের যুবক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। শ্রীরামপুর হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে বর্হিবিভাগ দৌড়ে বেড়িয়েও ছেলের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পারেননি। শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিক্রম মারা যান বলে দাবি পরিবারের। আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে যখন দৈনিক নাগরিক আন্দোলন চলছে, তখন ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন মা কবিতা ভট্টাচার্য। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেই শুরু হয়েছে চর্চা।
শনিবার সন্ধ্যায় কোন্নগরে মৃত যুবকের বাড়িতে যান শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংসদ মন্তব্য করেন, ‘‘গরিব মানুষ, মফস্সলের মানুষ বলে তাঁর জন্য আওয়াজ তোলার কেউ থাকবে না? তাঁর জন্য এলিট ক্লাস নামবে না? তার জন্য কোন গায়ক-গায়িকা, ফিল্ম আর্টিস্টরা নামবেন না?’’ মৃত্যুর আরজি করের চিকিৎসকদের উপর চাপিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এটা তো সত্যি কথা যে ডাক্তারদের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যু হল। ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ যদি হয়, তাহলে ‘জাস্টিস ফর কোন্নগর’ কেন হবে না?” তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিনেত্রী সোহিনী বলেন, ‘‘যদি কেউ এ রকম কথা বলে থাকেন, তার জন্য আমি একটা কথা বলতে পারি— সবাই যে পথে নেমেছেন, সবাই যে ‘জাস্টিস’ চাইছেন, আন্দোলন করছেন, অনেক দাবি রাখছেন সরকারের কাছে, সেটা কিন্তু এক জন মানুষের জন্য নয়। সমগ্র জাতির জন্য। এই পশ্চিমবঙ্গের জন্য।’’ অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘‘১৪ তারিখ (অগস্ট) শুরু হয়েছিল ‘রিক্লেম দ্য নাইট’। আজ ৮ সেপ্টেম্বর হয়ে গেল। এ পর্যন্ত যত মানুষ পথে নেমেছেন, তা এক জনের জন্য নামেননি। তাঁরা নিজের জন্যও নেমেছেন। অন্যের জন্যেও নেমেছেন। আমাদের সিস্টেমের মধ্যে যে কোরাপশন (দুর্নীতি) আছে, সিস্টেমের মধ্যে যে গাফিলতি আছে, সেগুলো ঠিক করার জন্যই আন্দোলন। তাই উনিও (কল্যাণ) এসে আমাদের আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন। দলের পতাকা ছেড়ে উনিও এসে যোগ দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy