রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা কল্যাণ ঘোষের। নিজস্ব চিত্র
তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে এখন সহানুভূতি কুড়োনোর রাস্তায় হাঁটছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে নিয়ে এমনটাই মত ওই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক তথা রাজীবের প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ ঘোষের। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইয়াসের দাপটে বাঁধ ভাঙার ঘটনায় সেচ দফতরের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রেক্ষিতেই রাজীবের নাম না করে বুধবার এই মন্তব্য করেন কল্যাণ।
বুধবার হুগলির শ্রীরামপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কল্যাণ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘সকলের এখন বোধোদয় হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে হয়নি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ দফতরের তদন্ত করছেন। সেই তদন্তের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি সহানুভূতি কুড়োবার পরিকল্পনা করছেন।’’ যদিও নিজে একবারও রাজীবের নামোচ্চারণ করেননি কল্যাণ। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর দিকেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই ৩৫৬ ধারা নিয়ে সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজীব। যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কল্যাণের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁর মুখ আর মুখোশ আলাদা তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত নয়। নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলেন। আর তার পরের দিনই অমিত শাহের পায়ে গিয়ে পড়লেন। ওঁকে দলে নিলে ক্ষতি হবে। শ্রীবৃদ্ধি হবে না।’’ একইসঙ্গে রাজীব প্রশ্নে দলনেত্রীর নির্দেশ ‘শিরোধার্য’ বলেও জানিয়েছেন কল্যাণ।
রাজীবের সুর বদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে হাওড়াল সলপে। ডোমজুড় তৃণমূল কংগ্রেস-এর নামে ওই পোস্টারে রাজীবকে ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করে তাঁকে দলে না নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। তা নিয়ে কল্যাণের মন্তব্য, ‘‘নির্বাচনের সময় দলনেত্রী এবং অভিষেক সম্পর্কে যে সব মন্তব্য করেছিলেন তাতে ওঁকে নিয়ে শুধু ডোমজুড়ই নয়, হাওড়া জেলার তৃণমূল কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এ সব হয়তো সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy