এ ভাবে প্রচারে বেরিয়ে বিতর্কে জড়ান অসিত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
‘গণ্ডিবদ্ধ এলাকা’য় (কন্টেনমেন্ট জ়োন) সাধারণ মানুষকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতন করতে বৃবস্পতিবার দুপুরে সপার্ষদ রাস্তায় নেমেছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। চায়ের দোকানে এক প্রৌঢ়কে মাস্ক পরতে বলায় তিনি শোনেননি। তাতেই মেজাজ হারান অসিত। প্রৌঢ়কে তিনি চড় মারতে যান বলে অভিযোগ। অসিত অভিযোগ মানেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হুগলি স্টেশন রোডের এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের আচরণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। এলাকায় শোরগোলও পড়েছে। প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও। বিধায়কের আস্ফালনে অসম্মানিত বোধ করছেন ওই প্রৌঢ়। তাঁর খেদ, ‘‘চা খেতে গিয়েছিলাম। মাস্ক না খুলে খাব কী ভাবে! সে জন্য এ ভাবে অসম্মানিত হতে হবে, ভাবিনি।’’
অসিতের দাবি, ‘‘অসচেতন মানুষকে কিছু বোঝানোর প্রয়োজন হলে একটু রাগারাগি করতে হয়। এক জনের জন্য বহু মানুষ আক্রান্ত হবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই নিয়ম না মানলে ধমকাতেই হবে। রাগ দেখিয়েছি, চড় মারতে যাইনি।’’
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর-সহ ৬টি ওয়ার্ডকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। অসিত ওই সব ওয়ার্ডে বুধবার থেকে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছেন। এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়-সহ দলের জনাপনেরো কর্মী। মাইকে প্রচারের পাশাপাশি মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার বিলি করা হচ্ছিল।
স্টেশন রোডের একটি চায়ের ওই দোকানে এ দিন আরও কয়েক জনের মুখেও মাস্ক ছিল না। তাঁদের দেখে অসিত সেখানে যান। কোলে শিশু নিয়ে বসে থাকা প্রৌঢ়কে তিনি মাস্ক পরাতে যান। কিন্তু প্রৌঢ় রাজি হননি। তারপরেই ওই কাণ্ড। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে যান। এক যুবকের কথায়, ‘‘বিধায়ক নিজে অত লোক নিয়ে করোনা নিয়ে সচেতন করতে এসেছিলেন। সেটা কি স্বাস্থ্যসম্মত? এর জবাব কে দেবে?’’
বিজেপির যুবনেতা সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘তৃণমূল মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। বিধায়কের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সেটাই প্রমাণ করল। বিধায়ক অত লোকলস্কর নিয়ে যাচ্ছেন,
তার বেলা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy