হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে নিজের দলের এক কর্মীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক গ্রামপ্রধানের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁর উপর হামলায় সময় চোট পেয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী। ছুরি মারার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানের আরও দাবি, পঞ্চায়েত অফিসের কাচ ভেঙে তাঁর উপরে চড়াও হতে গিয়ে ওই কর্মীর হাত কেটে গিয়েছে। এই দাবি অস্বীকার করে ওই তৃণমূল কর্মীর পাল্টা দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রধানই তাঁকে ছুরি মেরেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার হুগলি জেলার আরামবাগে এই ঘটনাকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরামবাগের বাতানল পঞ্চায়েতে অডিটের কাজ চলাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা শেখ শাহজাহান আলির সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়। শাহজাহানের অভিযোগ, “দিলীপ একাধিক দুর্নীতিতে জড়িত। আজ (মঙ্গলবার) পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ করায় হঠাৎই পকেট থেকে একটি ছুরি বার করে আমার উপর চালিয়ে দেন। এর পরই সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এতে ডান হাতে চোট পেয়েছি।”
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে দিলীপের পাল্টা দাবি, “পঞ্চায়েতে অডিটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সে সময় শাহজাহান তাঁর দলবল আমার ঘরে ঢুকে অশান্তি শুরু করেন। অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আমাকে মারধরও করেন। আমার টেবিলে থাকা কাচ ভেঙে মারার চেষ্টা করেন। ওই কাচেই হাত কাটে শাহজাহানের।”
মঙ্গলবার এ ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পঞ্চায়েত চত্বরে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আরামবাগ থানার পুলিশ।
এ ঘটনায় আরামবাগ তৃণমূল যুব সভাপতি পলাশ রায়ের প্রত্যক্ষ মদত আছে বলে দাবি প্রধানের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশ বলেন, “পুলিশকে বলেছি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy