প্রধান লিপিকা মাইতি নিজস্ব চিত্র
পুরশুড়ার চিলাডিঙি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বৈঠক চলাকালীন প্রধানকে নিগ্রহের অভিযোগ উপ প্রধান ও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। পাল্টা প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ।
সোমবার পুরশুড়ার চিলাডিঙি গ্রাম পঞ্চায়েতে বৈঠক ছিল। বৈঠকে যে যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল তা রেজোলিউশন খাতায় লেখা হচ্ছিল। এটা নিয়েই বচসা শুরু হয় প্রধান লিপিকা মাইতি ও বাকি সদস্যদের মধ্যে। অভিযোগ, প্রধান রেজোলিউশন খাতায় স্বাক্ষর করতে না চাওয়ায় খাতা ছিঁড়ে ফেলেন সদস্যরা। সেই ছবি মোবাইল বন্দি করতে যান প্রধান। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে হেনস্থা ও মারধর করা হয়। শাড়ি ও ব্লাউজ ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও প্রধানের অভিযোগ।
লিপিকা বলেন, ‘‘ওরা বলে বেড়াচ্ছে আমি সব টাকা তুলে নিচ্ছি। সরকারি এক টাকা খরচ করলেও হিসেব দিতে হয়। আর আমার স্বাক্ষর হলেই তো আর টাকা খরচ হবে না, তার জন্য সরকারি লোক আছে পঞ্চায়েতে। এখানে সরকারি লোকেরা জড়িয়ে আছেন, তাঁরা দুর্নীতি হতে দেবেন কেন? তাঁদেরও জীবনের প্রশ্ন রয়েছে। উপ প্রধান রেণুকা বারিক কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে সব সময় চাপ সৃষ্টি করেন। তাঁদের কথায় নাকি পঞ্চায়েত চালাতে হবে।’’
পাল্টা পঞ্চায়েত সদস্য সেখ বসির আলির অভিযোগ, ‘‘গত কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েতের খরচ-খরচা নিয়ে বৈঠক হচ্ছিল না। পঞ্চায়েতের তহবিলের ৮ লক্ষ টাকার কোনও হিসাব দিতে পারছেন না প্রধান। আমরা বিডিও ও থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। সোমবার প্রধান নিজেই খাতা ছিঁড়ে চেঁচামেচি করে বেরিয়ে গেলেন। পঞ্চায়েতের সব কাজ নিজে নিজে করেন। প্রধানের পরিবারের লোকজন আলপিন থেকে টিফিন সব কিছুর দায়িত্ব নিয়ে নেয়। হিসেব চাইলে দিতে চান না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy