— প্রতীকী ছবি।
একই পরিবারের তিন জনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির তারকেশ্বরে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছেলে মা এবং দিদিকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হন। কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক কারণেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।
তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতের বিশ্বাসপাড়ায় থাকতেন ৫৪ বছরের বিজলি মাইতি। সঙ্গে থাকতেন তাঁর ৩১ বছরের মেয়ে সুজাতা এবং ২৭ বছরের ছেলে শুভম। সোমবার সকালে তিন জনেরই দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তিন জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
সোমবার সকাল ৮টা বেজে গেলেও বাড়ির কারও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বাড়ির কাছে যেতেই তাঁরা পোড়া কিছুর গন্ধ পান। বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিলে কোনও সাড়া মেলেনি। তার পরেই দরজা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয়েরা। খবর যায় পুলিশেও। দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই হতবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন মা এবং মেয়ে। পাশেই ঝুলছেন ছেলে। পুলিশ তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে যে, প্রথমে মা এবং দিদিকে আগুনে পুড়িয়ে মারেন ছেলে শুভম। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর নিজে গলায় দড়ি দেন।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও অজানা। প্রতিবেশীদের একটি অংশ মনে করছেন, পারিবারিক কোনও অশান্তির কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাঁরা। কিন্তু কিছুই এখনও পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই কলকাতার উপকণ্ঠে গড়িয়ায় বাবা, মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন তাঁদের পুত্র। মূলত, আর্থিক টানাটানির কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল। তারকেশ্বরের ঘটনার সঙ্গেও আর্থিক টানাটানির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy