Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Titas Sadhu

ঘরে ফিরলেন তিতাস, চুঁচুড়ায় পা রাখতেই বিশ্বকাপজয়ীকে ঘিরে প্রবল উচ্ছ্বাস

গত রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের সেরা ঘোষিত হয়েছিলেন জোরে বোলার তিতাস সাধু। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট।

বিশ্বকাপ জয়ের পর বুধবার হুগলির ঠিকানায় ফিরলেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের এই সদস্য। নিজস্ব ছবি।

বিশ্বকাপ জয়ের পর বুধবার হুগলির ঠিকানায় ফিরলেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের এই সদস্য। নিজস্ব ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০১
Share: Save:

ঘরে ফিরলেন তিতাস। বিশ্বকাপ জয়ের পর বুধবার হুগলির ঠিকানায় ফিরলেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের এই সদস্য। চুঁচু়ড়ায় পা রাখতেই তাঁকে ঘিরে প্রবল উন্মাদনা। এত দিন পর নাতনিকে দেখে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন ঠাকুমাও!

গত রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের সেরা ঘোষিত হয়েছিলেন জোরে বোলার তিতাস সাধু। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। তাঁর সুইং আর বাউন্সে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের। সেই তিতাসকে নিয়ে এখন জয়জয়কার চুঁচুড়ায়।

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিতাস এবং বিশ্বকাপজয়ী ওই ভারতীয় দলে তাঁরই সতীর্থ হৃষিতা বসু। তাঁদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সেখান থেকে তিতাস যান রাজারহাটে। ফাইনাল ম্যাচের সেরার পুরস্কারটি তুলে দেন কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের হাতে। তার পর সেখান থেকে তিতাসের গন্তব্য হয় চুঁচুড়ার রাজেন্দ্র স্মৃতি সংঘ। যেখানে ক্রিকেটের অ, আ, ক, খ শেখা বিশ্বকাপজয়ী পেসারের। তিতাসকে দেখে আনন্দে মেতে ওঠে ক্লাবের খুদেরা। সেখানে বাচ্চাদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ খেলাধুলো করার পর নিজের বাড়িতে যান তিতাস। দীর্ঘ দিন পর তাঁকে দেখে জড়িয়ে ধরেন ঠাকুমা তৃপ্তি সাধু। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘এত আনন্দ এর আগে কবে হয়েছে, মনে করতে পারছি না! আমাদের পরিবারের নাম উজ্জ্বল করেছে ও।’’

তিতাসের পরিবারের রক্তেই খেলাধুলো রয়েছে। সেই পরিবারেরই হীরেন্দ্রলাল সাধু বাংলা ও অসমের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন। রাজেন্দ্র স্মৃতি সঙ্ঘও সাধু পরিবার গড়েছে। তিতাসকে কোচিং করিয়েছেন বাবা রণদীপ সাধুও। মেয়ের বাড়ি ফেরার দিনে রণদীপ বলেন, ‘‘বিমানবন্দর থেকে কোচের কাছে গিয়েছিল। কোচের হাতে ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা তুলে দিয়েছে। এটা আমার খুব ভাল লেগেছে।’’ তিতাসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? বাবা বলেন, ‘‘এখনও এটা নিয়ে ভাবার সময় হয়নি। সামনেই বোধহয় একটা টুর্নামেন্ট রয়েছে। বাড়িতে কত দিন থাকবে, জানি না। দেখা যাক কী হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Titas Sadhu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy