গয়নার দোকানে গেল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
চার দিন কেটে গিয়েছে। এখনও হাওড়ার ডোমজুড়ের গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনার কোনও কিনারা হয়নি। তার মধ্যেই হাওড়ার একটি গয়নার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে গেল। শনিবার ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে বহুমূল্য সোনার নেকলেস চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল ব্যাঁটরা কদমতলা এলাকায়। চুরির ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
গত ২৬ জুন দুপুর একটা নাগাদ ওই চুরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই গয়নার দোকানে এর আগেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের মালিক যীশুকৃষ্ণ আড়ি বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগে ব্যারাকপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার আগে এই দোকানে রেকি করে গিয়েছিল ডাকাতেরা।’’ এই চুরির ঘটনার পর মালিক থেকে দোকানের কর্মচারী, সবাই আতঙ্কিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। যদিও দুষ্কৃতী এখনও অধরা। এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা চাইছেন, তাঁদের দোকানের নিরাপত্তার দিকে বেশি করে নজর দিক প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার ডোমজুড়ে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী এসেছিল। প্রত্যেকের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। দোকানের মালিক বাধা দিতেই বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ডাকাতির সময় এক রাউন্ড গুলিও চলে। যদিও সেই গুলি কারও গায়ে লাগেনি। তবে রাস্তা থেকে গুলির খোলও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের নজর এড়াতে লুটপাট সেরে স্থানীয় বারুইপাড়ার ভিতরের রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ দেখে এবং নানা জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিহারের দুষ্কৃতীরাই ওই ডাকাতিতে যুক্ত। ওই গ্যাংটিই এর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গয়নার দোকানে এই ধরনের লুটপাট চালিয়েছে। তার পরেও ডোমজুড়ে তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা ডোমজুড়ের আলাদা আলাদা তিন জায়গায় ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। যদিও এই তিন ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্রে রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিন জায়গাতেই একই দুষ্কৃতীরা ছিনতাই চালিয়েছিল কি না, স্পষ্ট নয় তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy