কাজে ব্যস্ত পুনর্বহাল হওয়া কর্মীরা। বৃহস্পতিবার হিন্দু গার্লস স্কুলে। — নিজস্ব চিত্র।
বিধায়ক অসিত মজুমদারের প্রতিশ্রুতি মতোই বৃহস্পতিবার থেকে হুগলি গার্লস স্কুলে পুনর্বহাল হলেন ছাঁটাই হওয়া ১০ কর্মী। আর এ দিনই প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্জনা সরকারকে (যাঁর নির্দেশে ছাঁটাই হয়েছিল) ধমক দিলেন পুরপ্রধান অমিত রায়। আর এই ঘটনার জেরে ফের বেআব্রু এল ওই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
এ দিন ওই ১০ কর্মীকে স্বাগত জানাতে বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়েছিলেন অমিত রায় ও স্থানীয় পুর-প্রতিনিধি ঝন্টু বিশ্বাস। হাজির ছিলেন স্থানীয় বাম নেতারাও। সেই সময়ই বিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছিলেন সঞ্জনা। তাঁকে দেখেই মেজাজ হারান অমিত। আঙুল উঁচিয়ে সঞ্জনাকে ভিতরে ঢুকে যেতে বলেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত খেয়ে যান সঞ্জনা। পরে এ বিষয়ে তিনি তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ তোলেন। সঞ্জনা বলেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুরপ্রধান ও পুর-প্রতিনিধি আমাকে অপমান করলেন। আমাকে ওঁরা ক্ষমতা দেখিয়েছেন। আমিও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’’
অমিত অবশ্য এ দিন রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘ওঁকে আমি চিনি না। মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়টি পুরসভা দেখে। পুরনোরাই কাজে ঢুকছে কি না দেখতে গিয়েছিলাম। উনি (সঞ্জনা) সভাপতি হলে গেটের সামনে কী করছিলেন?’’ আর ঝন্টু বলেন, ‘‘ওঁকে (সঞ্জনা) নিয়ে কথা বলতে রুচিতে আটকায়। কোনও মন্তব্য করব না।’’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ-র হুগলি জেলা কমিটির সদস্য শিবাজী মিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘সঞ্জনাই প্রথমে পুরপ্রধানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তাই পুরপ্রধান উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের এমন প্রকাশকাম্য নয়।’’
শহর তৃণমূলের সমীকরণ বলছে, সঞ্জনা বিধায়ক অসিত মজুমদার ঘনিষ্ঠ। আর গত পুর ভোটের কিছুদিন আগে থেকেই ঝন্টুর সঙ্গে বিবাদ শুরু অসিতের। পুর নির্বাচন মিটতেই ওই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ঝন্টুকে সরিয়ে সঞ্জনাকে বসানো হয়। সে সময় থেকেই দলে নবাগত সঞ্জনার উত্থান। এ দিকে এলাকার তিন বারের পুর-প্রতিনিধি ঝন্টু ক্রমশ পুরপ্রধান অমিতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন। আর অমিত ও অসিতের দ্বন্দ্বও নতুন নয়। হুগলি গার্লসের এই ঘটনা সেই কোন্দলেরই ফল বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, ‘‘অমিত ও সঞ্জনা দু'জনেই সরকারি ভাবে দু'টি পদে রয়েছেন। স্কুল গেটে কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সঙ্গে দলকে জড়ানোর কোনও মানে নেই। সঞ্জনা যদি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমার কিছুই করার নেই।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy