শান্তনুর বাড়ি বলাগড়ের বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি। —নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে এ বার আরও এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি আধিকারিক আসেন হুগলির বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ওই আধিকারিকরা।
শান্তনুর বাড়ি বলাগড়ের বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি। স্বভাবতই তাঁকে এলাকায় লোকেরা ‘প্রভাবশালী’ বলে মনে করেন। ইডির আধিকারিকরা যখন শান্তনুর বাড়িতে পৌঁছন, তখন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তল্লাশি শুরুর পর তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। অর্থাৎ, তাঁকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। তাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তলের নাম নিয়েছিলেন। তাপস দাবি করেছিলেন, তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে পৌঁছেছে। তাপসের অভিযোগ, সব মিলিয়ে ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। এরই পাশাপাশি তাপস দাবি করেছিলেন, তাঁর পরিচিতেরাও নিয়োগের জন্য কুন্তলকে টাকা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সেই পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা। যদিও সিবিআই বা কোনও সরকারি সূত্রে ওই দাবির সমর্থন মেলেনি।
শুক্রবার সকাল থেকে কুন্তলের নিউ টাউনের বাসস্থানে ইডি আধিকারিকরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, নিউ টাউনের চিনার পার্ক এলাকায় একটি আবাসনের দু’টি ফ্ল্যাট যুবনেতার বাসস্থান। একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র ধরেই শান্তনুর বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। ওই সূত্রেরই বক্তব্য, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন বলাগড়ের ওই নেতাও। ওই দাবির সত্যাসত্য জানতেই ইডি শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তল্লাশি জারি রয়েছে।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় শিরোনামে লেখা হয়েছিল, শান্তনু তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের ‘ঘনিষ্ঠ’। পাশাপাশিই লেখা হয়েছিল, নিউ টাউনে কুন্তলের ‘নামে’ জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে। শান্তনু কুন্তলের ‘ঘনিষ্ঠ’, এমন দাবি কোনও তরফেই কেউ কেননি। দ্বিতীয়ত, নিউ টাউনের দু’টি ফ্ল্যাট কুন্তলের ‘বাসস্থান’। তাঁর ‘নামে’ নয়। দু’টি ভুলই সংশোধন করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy