Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kalyan Banerjee

Kalyan Banerjee: মমতার পথই আমার পথ, শনিবার প্রকাশ্যে এসে অভিষেক-বিতর্কে ‘স্পিকটি নট’ কল্যাণ

বিজেপি-কে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, ‘‘বিজেপি বলেছিল আব কি বার দোসো পার! সত্তরটা পেয়ে হেরে ভুত হয়ে বাড়ি চলে গেছে। কারণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে মমতা!’’

ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রিষড়া শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৪৩
Share: Save:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা আবহে ২ মাস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রচার বন্ধ রাখার ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের দু’দিন পর প্রকাশ্যে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেয় সাংসদ এলাকা, রিষড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রিষড়ার অনুষ্ঠান থেকে কল্যাণ ফের বললেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথই, আমার পথ।’’ তবে এর বেশি কিছু বলেননি শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।

শনিবাসরীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলনেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমাদের কাজের মূল প্রেরণার নাম, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শিখিয়েছেন, মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। মানুষের ব্যথা যন্ত্রণাকে বুঝতে হবে।’’ তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতার কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটেই আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে উৎখাত করেছেন। এবার নির্বাচনেও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে, ততদিন বাংলায় বিজেপির কোনও জায়গা নেই।’’ একইসঙ্গে বিজেপি-কে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, ‘‘বিজেপি বলেছিল আব কি বার দোসো পার! সত্তরটা পেয়ে হেরে ভুত হয়ে বাড়ি চলে গেছে। কারণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে মমতা!’’

রিষড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খানিক ব্যাডমিন্টনও খেলেন কল্যাণ। রিষড়া মাতৃসদনের জন্য সাংসদ কোটা থেকে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন করেছেন তিনি। আগামী দিনে আরও কাজ করবেন বলেও জানান তৃণমূল সাংসদ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শ্রীরামপুরের সাংসদের মুখে একবারও শোনা যায়নি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য এবং তজ্জনিত বিতর্ক নিয়ে একটি শব্দও।
প্রসঙ্গত, শনিবারই তৃণমূলের মহাসচিব তথা দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রকাশ্যে একের পর এক মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কারও কোনও মন্তব্য থাকলে দলের মধ্যে বলুন। সমস্ত মন্তব্য, বিবৃতি এখনই বন্ধ করুন।’’ রাজনৈতিক মহলের অনুমান, পার্থর এই বক্তব্যের নিশানায় ছিল অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য নিয়ে কুণাল ঘোষ ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বিতণ্ডা এবং তজ্জনিত তোপ-পাল্টা তোপের ঘটনা। ঘটনাচক্রে সেই সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিষড়ার অনুষ্ঠানে খোশমেজাজে পাওয়া গেল কল্যাণকে। কিন্তু দলনেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না দুঁদে আইনজীবী কল্যাণের মুখে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy