খাল বুজিয়ে রাস্তা তৈরি করে সেখান দিয়ে মাটি ভর্তি গাড়ি পারাপারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আমতার বাগনান-১ ব্লকের সাবসিট পঞ্চায়েতের তালসারির ঘটনা। অভিযোগের তির সাবসিট অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি তপন সামন্তের দিকে। তিনি অবশ্য অভিযোগ মানেননি। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, ওই তৃণমূল নেতার দাপটে পুলিশ-প্রশাসনও কিছুই করছে না।
মানকুর মোড় থেকে জয়পুর যাওয়ার রাস্তার ধার দিয়ে বয়ে গেছে কুড়িয়া বিরামপুর খাল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তালসারির কাছে এই খাল বুজিয়ে রাস্তা তৈরি চলছে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অর্ধেক খালই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখান দিয়ে ট্রাক্টরে মাটি বোঝাই করে নিয়ে এসে জলাজমি ভর্তি চলছে।
খাল এমন ভাবে বোজানো নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পাশাপাশি ওই খাল বোজানোর ফলে জমির নিকাশি-সমস্যা হবে বলে অভিযোগ চাষিদের। তাঁদের আশঙ্কা, খাল থেকে জল না মিললে গরমকালে সমস্যা হবে চাষে।
অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ তপন। তাঁর কথায়, ‘‘জলাজমি ভর্তি বা মাটি বিক্রিতে আমি জড়িত নই। শুনেছিলাম, ওই খালের উপর একটি কালভার্ট তৈরি করা হবে, তাই মাটি ফেলা চলছে।’’
সাবসিট পঞ্চায়েত প্রধান প্রিয়া সামন্ত বলেন, ‘‘খাল থেকে মাটি কাটার অনুমতি পঞ্চায়েত দেয়নি। কারা এই কাজ করছে, খোঁজ নেব।’’ দিনের আলোয় এমন কাজ চলছে, তার খোঁজ রাখেননি কেন? উত্তর দেননি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কিছুই না জানার কথা জানিয়েছে পুলিশ। একই সুর সেচ দফতরের কর্তাদের গলাতেও। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ আর হাওড়া জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে তদন্ত করা হবে।’’
বাগনান-১ ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিক শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই জায়গায় পরিদর্শনে যাওয়া হবে। যদি দেখা যায় জলাজমি ভর্তি হচ্ছে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)