সংক্রমিতদের জন্য শয্যা সাজানোর কাজ চলছে চন্দননগর হাসপাতালে ছবি: তাপস ঘোষ
আছে ১৮৬টি। হবে প্রায় সওয়া ৬০০।
হুগলিতে সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তাই সরকারি হাসপাতালে কোভিড শয্যা আরও বাড়াচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ১৮৬টি শয্যা রয়েছে। ওই সংখ্যা বেড়ে প্রায় সওয়া ছ’শো হচ্ছে। অর্থাৎ, চারশোরও বেশি শয্যা বাড়ছে। এর মধ্যে চন্দননগর হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে এত দিন পুরোপুরি করোনা হাসপাতাল বলতে শুধু ছিল ব্যান্ডেল ইএসআই। এ বার চন্দননগর যুক্ত হল। জেলার বিভিন্ন নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালও করোনা চিকিৎসা করবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ছ’শোর বেশি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
দিন কয়েকের মধ্যেই সব শয্যা চালু হয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা। এখন ১৪০টি সাধারণ এবং ৪৬টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার শয্যা রয়েছে। নতুন পরিকাঠামোয় সাধারণ শয্যা হবে সাড়ে ৪০০-র বেশি। ক্রিটিক্যাল কেয়ার শয্যা হবে দেড়শোর বেশি।
সরকারি সূত্রের খবর, আরামবাগ হাসপাতালে ৯৬টি, শ্রীরামপুর ওয়ালশে ৫০টি, উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেলে ৩০টি শয্যা চালু করা হবে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৭০টি কোভিড শয্যা হবে। ব্যান্ডেল ইএসআইতে ১০০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে আরও ৫৮টি শয্যা বাড়ছে। সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ১০টি শয্যা বাড়িয়ে ৮০টি করা হবে।
চন্দননগর হাসপাতালকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই হাসপাতালে এখন ১৫টি কোভিড-শয্যা রয়েছে। এ বার ওই হাসপাতাল পুরোটাই কোভিড চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে। মোট শয্যা থাকবে ১৮০টি। কোনও রোগের জন্য জরুরি চিকিৎসা দরকার, অথচ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এমন রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে কোভিডের প্রথম পর্যায়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ বার ঠিক করা হয়েছে, জরুরি চিকিৎসা অথবা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, এমন কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর যাবতীয় চিকিৎসা করা হবে চন্দননগর হাসপাতালে। প্রয়োজন অনুযায়ী গোটা জেলা থেকেই এমন রোগীদের এই হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেই তালিকায় অন্তঃসত্ত্বারাও থাকবেন।
প্রস্তুতির জন্য বুধবার সকাল থেকেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্থানান্তর শুরু হয়ে যায়। যাঁরা মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়। ১২৬ জন রোগীকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ এবং চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘কোভিড আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা বা অন্য জরুরি চিকিৎসার তেমন পরিকাঠামো করোনার প্রথম পর্যায়ে সে ভাবে ছিল না। চন্দননগরে এগুলির বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। তাই জটিল কিছু হলে এখানেই চিকিৎসা সম্ভব হবে।’’
মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তাঁদের কোভিড চিকিৎসার আর্জি জানানো হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। তাতে সাড়াও মেলে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, জেলার চার মহকুমায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গড়ে গোটা ৪০ শয্যায় ওই চিকিৎসা হবে। অর্থাৎ, আরও দেড় শতাধিক শয্যা বাড়বে। তার মধ্যেই শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল ২৬টি আইসিইউ-সহ মোট ৬২টি কোভিড শয্যা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য সহায়তা: তাপস ঘোষ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy