প্রতীকী ছবি।
নেশামুক্তি কেন্দ্রকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে চলছিল পর পর ছিনতাই। এ দিকে, পুলিশও হন্যে হয়ে খুঁজছিল ছিনতাইবাজদের। অবশেষে এক তরুণীর মোবাইল ছিনতাইয়ের তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নাম সুপ্রভাত প্রামাণিক ও বিশ্বনাথ দাস। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন লুকিয়ে থাকার অভিনব এই ব্যবস্থার কথা।
হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকা থেকে ধৃত দুই ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করে জানা যায়, মোবাইল বা সোনার গয়না ছিনতাইয়ের পরে গা-ঢাকা দিতে তারা আশ্রয় নিত হাওড়ারই বিভিন্ন নেশামুক্তি কেন্দ্রে। তাই পুলিশ অপরাধীদের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও তাদের নাগাল পেত না।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১১ জুন দুপুরে এক কলেজপড়ুয়া তরুণী যখন লিলুয়ার বামনগাছির রাস্তা দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতেযাচ্ছিলেন, তখনই দুই মোটরবাইক আরোহী যুবক তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে চম্পট দেয়। রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন ওই তরুণী। পরদিন তিনি মালিপাঁচঘরা থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৬ জুন ডোমজুড়ের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকেসুপ্রভাতকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় শিবপুরের বাসিন্দা ওই যুবকই তার সঙ্গীর নাম জানিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে বিশ্বনাথকে হাওড়ার বেলগাছিয়ার অন্য নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ধরা হয়।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (নর্থ) অনুপম সিংহ বুধবার বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা ছিনতাই করার পরে চিকিৎসার নাম করে কোনও একটি নেশামুক্তিকেন্দ্রে ভর্তি হয়ে যেত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের বেরিয়ে ছিনতাই করত।’’ ডিসি (নর্থ) জানান, যে মোটরবাইকে চেপে ছিনতাই করা হত, সেটি উদ্ধার হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের অন্য থানায় অভিযুক্তদেরবিরুদ্ধে অপরাধের কোনও রেকর্ড রয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সুপ্রভাত বাইকটি চালাচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা দায়ের হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওই কেন্দ্রগুলির কেউ জড়িত কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy