কেকে-কে নিয়ে স্মৃতিচারণা গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানের দুই সঞ্চালক সুদীপ্ত মিত্র ও শিল্পী মিত্রর। নিজস্ব চিত্র
নজরুল মঞ্চে কেকে-র লাইভ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ওঁরা দু’জনে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষে হল থেকে বেরোনোর সময় কেকে-র শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল? বুধবার সে কথা জানিয়েছেন সুদীপ্ত মিত্র এবং শিল্পী মিত্র। হাওড়ার ইছাপুর বটতলার বাসিন্দা ওই দম্পতি তুলে ধরেছেন শিল্পী কেকে-র সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলির স্মৃতি। একই সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কেকে-র সঙ্গে কাটানো সময়ের অভিজ্ঞতাও।
শিল্পী জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই কেকে-র ভক্ত। মুম্বইয়ের অনেক শিল্পীর সঙ্গে তাঁরা অনুষ্ঠান করেছেন। কিন্তু কেকে-র অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করবেন সেটা ভেবে খুবই উত্তেজিত ছিলেন। শিল্পী বলেন, ‘‘সকাল থেকে আমার মেয়েও খুব উত্তেজিত ছিল। সামনে থেকে দেখলাম কেকে পুরো অন্য রকম। খুবই ভদ্র এবং ব্যবহারও দারুণ। এক মঞ্চে ওঁকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়।’’ নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে শিল্পী বলছেন, ‘‘গতকাল কলকাতায় বেশ গরম ছিল। নজরুল মঞ্চেও অনেক মানুষ ছিলেন। তার পরেও উনি সকলের আবেদন রেখে গান গেয়েছেন। ওঁর এত এনার্জি যে, মঞ্চে লাফ দিচ্ছিলেন। মুখে বিভিন্ন রকমের বাজনার আওয়াজ করছিলেন। ওঁর শেষ গান ছিল, ‘হম, রহে ইয়া না রহে কাল...।’ আমাদের জীবন কী অদ্ভুত! শেষ পর্যন্ত দেখলাম ওই গানটাই ওঁর জীবনের সঙ্গে মিলে গেল। এ সব ভেবে কাল সারা রাত আমরা ঘুমাতে পারিনি।’’
শিল্পীর দাবি, অনুষ্ঠান শেষেও খুবই চনমনে ছিলেন কেকে। তাঁর কথায়, ‘‘অনুষ্ঠান শেষে উনি হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যান। এমনটা কী করে হল বুঝতে পারছি না। অনুষ্ঠান চলাকালীন উনি এক বারও মঞ্চের বাইরে যাননি। মঞ্চে এলইডি আলো জ্বলছিল। তাতে হলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। একটা সময় হলের যা ধারণ ক্ষমতা তার বাইরেও লোকজনকে ঢোকাতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। আর মঞ্চে ওই রকম লাফালে যে কোনও মানুষের প্রচণ্ড গরম অনুভব হবে। উনি ঘামছিলেনও খুব। ওঁর কাছে স্যালাইন ওয়াটারও ছিল। তা উনি খাচ্ছিলেন বার বার। মঞ্চেও খুব মজাও করছিলেন।’’
সুদীপ্তের কথায়, ‘‘গতকালকের অনুষ্ঠানটা কাকতালীয় ভাবে কেকে-র শেষ অনুষ্ঠান এবং ওঁর সঙ্গে আমাদের প্রথম অনুষ্ঠান। গ্রিন রুমে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। উনি সরল মনে ওঁর গানের তালিকাটা দেখালেন। ওই গানগুলি উনি মঞ্চে গেয়েছেন। উনি নিজের হাতে চেয়ার এনে আমাদের বসতেও দিলেন। এত কম সময়ে দেখা হলেও উনি যে আন্তরিকতা দেখালেন তা অভাবনীয়। আজ সেই সব ঘটনা খুব মনে পড়ছে। তবে অনুষ্ঠানের সময় উনি বার বার ঘাম মুছছিলেন। ওঁর গান গাইতেও কষ্ট হচ্ছিল। ওঁর খুব গরম লাগছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy