থার্মোকলের বাক্সের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ফাইল চিত্র।
হাওড়ার মাছবাজারে থার্মোকলের বাক্সের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। যদিও ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই বাক্সেই মাছ আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। তাই সেখানকার ব্যবসায়ী সংগঠনকে ইতিমধ্যেই এ ভাবে মাছ পাঠাতে বারণ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ ব্যবসায়ীদের একাংশের আবার দাবি, থার্মোকলের বাক্সে নয়, মাছ পাঠানো হয় ট্রে-তে করে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে পাতিপুকুর মাছবাজারে থার্মোকল বাক্সের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। তার পরেই হাওড়ার মাছবাজারের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেয় তারা। আদালতের বক্তব্য, থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ। শুধু পাতিপুকুর বা হাওড়া মাছবাজারই নয়, সর্বত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
হাওড়া মাছবাজার সংক্রান্ত মামলাটির প্রথম শুনানি হয়েছিল ২০২১ সালের অগস্টে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মামলার নিষ্পত্তি করে আদালত জানায়, হাওড়া মাছবাজার এলাকা প্লাস্টিক এবং আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে। সেখানে তরল বর্জ্য যাতে না জমে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মতো কাজ হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে মান্যতা-রিপোর্ট (কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) দাখিল না হওয়ায় গত মাসে ফের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা শুরু করে আদালত। তখনই আবার উঠে আসে থার্মোকল বাক্সের ব্যবহার, ভাঙা থার্মোকল পড়ে থাকার বিষয়টি।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া মাছবাজার সমিতি আদালতকে জানায়, থার্মোকলের বাক্স নিষিদ্ধ জানার পরেই গত বছরের অগস্টে তাদের পক্ষ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ওই ভাবে মাছ না পাঠানোর জন্য। হাওড়া মাছবাজার সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানান, এই মামলাটি চলাকালীন মাছবাজারে পরিবেশবিধি ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য পরিবেশ আদালত একটি কমিটি গড়েছিল। সেখানে পরিবেশবিধি পালনের জন্য যা যা বলা হয়েছে, সবই করা হচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীদের তরফে। আনোয়ারের বক্তব্য, ‘‘জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ যদিও অন্ধ্রের মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘‘এখান থেকে থার্মোকলে নয়, মাছ যায় ট্রে-তে করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy