দু’টির বাসের মধ্যে রেষারেষির জেরে উল্টে গেল একটি। দুর্ঘটনায় জখম হলেন ২০ জন যাত্রী। শনিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার মহিষরেখা সেতুর কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের এই দুর্ঘটনায় জখমরা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিনের দুর্ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক যানজট হয় জাতীয় সড়কের দুই লেনেই। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতিসামাল দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে কলকাতা স্টেশন থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে যাচ্ছিল। অন্য বাসটিও যাচ্ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে। উলুবেড়িয়া মহিষরেখা সেতুর কাছে দু’টি বাসের রেষারেষি শুরু হয়। সেই সময় চন্দ্রকোনা রোডগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার টপকে কলকাতামুখী রাস্তায় উল্টে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাসের জানলার কাঁচ ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। আহত ২০জন যাত্রীকে পাঠানো হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে।
শঙ্করী সাউ নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘জাতীয় সড়কে ওঠার পর থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটছিল বাসটা। চালককে গতি কমানোর কথা বললেও কানে তোলেনি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও খালাসি পলাতক। আর অন্য বাসটিরও সন্ধান চালানো হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার হাওড়া সেতুতে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে দু’টি যাত্রিবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন অন্তত ২০ জন। ধাক্কার অভিঘাতে একটি বাসের চালকের দিকের অংশ এমন ভাবে ভেঙে ভিতরে ঢুকে আসে যে, তার মধ্যে আটকে পড়েন চালক নিজে। পরে পুলিশ পৌঁছে রড, শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সে দিনের পর শনিবার সকালের ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল, প্রতি বছর ঘটা করে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি পালন অথবা চালকদের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ শিবির হলেও তাঁদের একাংশের ওভারটেক করার প্রবণতা বন্ধ হয়নি।
এ দিনের দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কে গাড়ির লাগামছাড়া গতি নিয়ে পুলিশে বহুবার জানানো হয়েছে। কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, পুলিশের সামনেই বাস-ট্রাকের ছাদে চড়ে চলে অবাধ যাতায়াত। পুলিশি নজরদারির অভাবের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন যাত্রীরাও।
এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার-সহ জেলার একাধিক পুলিশ কর্তা। অভিযোগ উড়িয়ে জেলার এক ট্রাফিক কর্তা বলেন, ‘‘রাস্তায় সব সময় নজরদারি চলে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা করা হয়। ফের নজরদারি বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy