হুগলি বার অ্যাসোসিয়েশনের দফতরের ছাদ থেকে খসে পড়া চাঙড়। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভগ্নদশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেখানে কাজ করেন আইনজীবীরা। এ বার ছাদ খসে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কয়েকজন আইনজীবী। তার পরেই বার সংস্কারে জেলা জজের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা হুগলি বারে বসে তাদের কাজকর্ম করেন। মক্কেলদের সঙ্গে কথা বলেন। মামলার খুঁটিনাটি নিয়ে বারের সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি চলে আইনের বই পড়া অথবা কম্পিউটারে তথ্য মিলিয়ে নেওয়া। চুঁচুড়ার ঘড়ির মোরে শতাব্দী প্রাচীন সেই বারেই সোমবার দুপুরে ঘটেছে দুর্ঘটনা। তখন কয়েকজন আইনজীবী তাঁদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সে সময় হঠাৎ ভেঙে পড়তে থাকে ছাদের চাঙড়।
ওলন্দাজ (ডাচ) জমানায় তৈরি প্রাচীন এই ভবনের পেটাই ছাদ থেকে কড়ি-বরগা খুলে ঝুলে পড়ে ওই দুর্ঘটনায়। ইট খসে পড় চেয়ার-টেবিল আলমারির-মাথায়। শব্দ হতেই দ্রুত তফাতে সরে যান আইনজীবীরা। ফলে বড় কিছু ঘটেনি। তা ছা়ড়া, করোনা বিধিনিষেধের জন্য আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। তাই আগের তুলনায় লোক কম ছিল। না হলে বড় বিপদ হতে পারত বলে আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ।
এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বারের সদস্যেরা। হুগলি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষ্ণশঙ্কর বোলেল বারের সদস্য আইনজীবীদের নিয়ে হুগলি জেলা জজের কাছে গিয়ে বার সংস্কারের আবেদন জানান। দুর্ঘটনার কথাও জানান। জেলা জজ পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে সংস্কার করে দিতে বলেছেন। হাই কোর্ট থেকে টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ হয়ে হবে বলে জানিয়েছে পূর্ত দফতর।
হুগলি বারের সভাপতি বলেন, ‘‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। বহুদিন ধরেই ভগ্নদশায় রয়েছে ভবনটি। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আজ ছাদের চাঙড় খসেছে, এর পর কোনও দিন ছাদটাই ভেঙে পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy