Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Ladakh

Ladakh: লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরাতে বুধবার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক ভারত ও চিন সেনার

২০২০ সালের এপ্রিলে পূর্ব লাদাখের এলএসি পেরিয়ে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র অনুপ্রবেশের পরেই অশান্তির সূচনা হয়।

লাদাখে এলএসি-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনা।

লাদাখে এলএসি-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২১
Share: Save:

ঘোষণা করা হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। এ বার লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরের চতুর্দশ দফার বৈঠকের দিন ঘোষিত হল। আগামী বুধবার চুশুল সেক্টর লাগোয়া মলডোতে হবে ওই বৈঠক।

গত নভেম্বরে নয়াদিল্লি ও বেজিং-এর মধ্যে সীমান্ত নিয়ে ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’-এর ২৩তম বৈঠকে স্থির হয়েছিল ডেপসাং উপত্যকা, হট স্প্রিংয়ের মতো অঞ্চলগুলি নিয়ে বিবাদ মেটাতে ফের দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হবে। সোমবার ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া বৈঠকের দিন ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমাদের আশা আলোচনার মাধ্যমে লাদাখে বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।’’

২০২০ সালের এপ্রিলে পূর্ব লাদাখের এলএসি পেরিয়ে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র অনুপ্রবেশের পরেই অশান্তির সূচনা হয়। কূটনৈতিক এবং সেনা স্তরের আলোচনার মধ্যেই ২০২০-র ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনা ফৌজের হতাহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি।

শেষ পর্যন্ত অক্টোবরে কোর কমান্ডার স্তরের ত্রয়োধশ বৈঠকে প্যাং‌গং হ্রদের উত্তর দক্ষিণ তির, গালওয়ানের মতো এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও অন্য এলাকাগুলি নিয়ে এখনও মতানৈক্য রয়ে গিয়েছে। ত্রয়োদশ বৈঠকে ভারতের তরফে একাধিক ‘গঠনমূলক প্রস্তাব’ দেওয়া হলেও চিনের দিক থেকে ‘ইতিবাচক’ সাড়া মেলেনি। এলএসি বরাবর এখনও মোতায়েন রয়েছে দু’পক্ষের ৬০ হাজারেরও বেশি সেনা।

অন্য বিষয়গুলি:

Ladakh China India-China Clash LAC Indian Army
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE