ইডির হাতে গ্রেফতার শান্তনু। — ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। তারকেশ্বরের ৩৪ নম্বর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বনে যান তৃণমূলের দাপুটে যুব নেতা, বর্তমানে ইডি-র হাতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি ধরা পড়ার পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর দাপটের কথা উঠে আসছে। ভোটে জিততে ভয় দেখিয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
ওই ভোটে জেলা পরিষদে শান্তনুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিজেপির সুনীল পাঁজা। বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন তন্ময় জানা। সুনীলের অভিযোগ, শাসক দলের সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গুন্ডাবাহিনী বাড়িতে গিয়ে বন্দুক দেখিয়ে প্রার্থিপদ তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখিয়েছিল। আমার ছোট ছোট দুটো বাচ্চা রয়েছে। পরিবারের কথা ভেবে প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিই।’’ তন্ময়ের অভিযোগ, ‘‘প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের জন্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকজন আমার উপরে নানা ভাবে চাপ দিয়েছিল। আমার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আমাকে বাড়িছাড়া করা হয়। মনোনয়নপত্রে প্রার্থী হিসাবে আমার প্রস্তাবকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাধ্য হয়ে মনোনয়ন তুলে নিই।’’
শান্তনুর পাশাপাশি ওই আসনে চণ্ডীতলার তৃণমূল নেতা সুরজিৎ মণ্ডল মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তার আগের বার সুরজিৎ চণ্ডীতলা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের কথায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সুরজিৎ প্রার্থিপদ তুলে নেন। শান্তনুকে টিকিট দেয় দল। শিক্ষা দুর্নীতিতে শান্তনু আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যাওয়ায় প্রার্থিপদ প্রত্যাহার নিয়ে আফশোস করছেন সুরজিৎ। তিনি বলেন,‘‘দলকে ভুল বুঝিয়ে শান্তনুকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছিল। উনি দলের প্রকৃত কর্মী নন। তা হলে দলের এত ক্ষতি করতে পারতেন না। এখন মনে হচ্ছে, প্রার্থিপদ প্রত্যাহার না করলেই ভাল হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy