Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
library

গ্রামীণ গ্রন্থাগারের দরজা খুলছে আগামীকাল থেকে

রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর সোমবার নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত গ্রামীণ গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সূচনা।

মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সূচনা।

প্রকাশ পাল
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৫৮
Share: Save:

করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় এক মাস আগে দরজা খুলেছে শহর গ্রন্থাগারের। যত দিন যাচ্ছে, করোনার প্রকোপ আরও কমছে। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে এ বার সরস্বতী পুজো কাটিয়েই গ্রামীণ গ্রন্থাগারও খুলে যাচ্ছে।

রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর সোমবার নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত গ্রামীণ গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হবে। তবে শহরের মতোই এ ক্ষেত্রেও এক দিন অন্তর গ্রন্থাগার খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মানতে হবে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার দফতরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সূত্রের খবর, হুগলিতে ১৫৮টি গ্রন্থাগার রয়েছে। অধিকাংশই গ্রামীণ গ্রন্থাগার। এই সংখ্যা ১৩৫টি। গত বছর মার্চের শেষ দিকে করোনার হানায় গোটা দেশে লকডাউন হয়। সেই সময়েই আর পাঁচটা জায়গার মতোই গ্রন্থাগারের দরজাতেও তালা পড়ে। জুন মাস থেকে ধীরে ধীরে জনজীবন একটু একটু করে স্বাভাবিক হলেও বইপ্রেমীদের ভাগ্যে শিঁকে ছিড়ছিল না। শেষ পর্যন্ত, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে শহর গ্রন্থাগার খোলে। হুগলি জেলা গ্রন্থাগার, রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মর্যাদাপ্রাপ্ত উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ সাধারণ গ্রন্থাগার এবং ২২টি শহর মহকুমা গ্রন্থাগার খুলে যায়। তবে, গ্রামীণ গ্রন্থাগারের পাঠকরা হা-পিত্যেশ করেই বসেছিলেন। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এবং জনজীবন অনেক স্বাভাবিক হওয়ায় এই সব পাঠাগার খোলার দাবি উঠতে থাকে পাঠক মহল থেকে।

হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপকুমার ঘোষ জানান, স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে মেনে যাতে পরিষেবা দেওয়া হয়, সরকারি এই নির্দেশিকার কথা সব গ্রন্থাগারেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান বলেন, ‘‘সব গ্রন্থাগারের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ করছি।’’ বিভিন্ন গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কবে পরিষেবা চালু হবে, সে দিকে তাঁরা মুখিয়ে ছিলেন। অবশেষে এই ঘোষণায় তাঁরা খুশি। এক গ্রন্থাগারিকের কথায়, ‘‘বই ঘেঁটে দেখা সুন্দর একটি অভ্যাস। পাঠকের সেই অভ্যাসে ছেদ পড়েছিল এত দিন। এ বার ফের তাঁরা বই নেড়েচেড়ে দেখতে এবং পড়তে পারবেন।’’

বহু গ্রন্থাগার এমনিতেই পরিকাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত। কার্যত লোকলস্করহীন অবস্থায় পরিষেবা দিচ্ছে গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বইপত্র বা পাঠাগারের রক্ষণাবেক্ষণও সে ভাবে করা যায়নি। যদিও বেশ কিছু জায়গায় কিছু দিন অন্তর গ্রন্থাগার কর্মী, পরিচালন সমিতির লোকজন বা স্থানীয় বইপ্রেমি মানুষজন গ্রন্থাগার পরিস্কার বা ন্যাপথলিন দিয়ে বই সংরক্ষণের কাজে এগিয়ে এসেছিলেন।

এ বার নিয়মিত ভাবে সেই কাজ করা যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

library Corona Coronavirus in West Bengal COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy