ধূসর জল ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে। খানাকুলের রঘুনাথপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার কাজ থমকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তার তদন্তে এখন কেন্দ্রীয় দল ঘুরছে বিভিন্ন জেলায়। ইতিমধ্যে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ প্রকল্পের আওতায় ধূসর জল (ঘরের কাজে ব্যবহৃত তুলনামূলক কম দূষিত জল) ব্যবস্থাপনায় হুগলি জেলার কাজে ফাঁক পেয়েছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ফের এই বিষয়ে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ যাতে না ওঠে, তাই দ্রুত ভুল সংশোধনের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে দফতরের একটি বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে জানিয়েছে, ধূসর জল ব্যবস্থপনায় যে সব ‘লিচ পিট’ (২ মিটার গর্ত করে ধারে ফাঁক-ফাঁক ইটের গাঁথনি) করা হয়েছে তা জেলার কোথাও প্রযোজ্য নয়। ব্লকের ভূগর্ভস্থ জলের প্রথম স্তর (১২-১৮ মিটারের মধ্যে) অনুযায়ী সেগুলি না হওয়ায় উপকারের বদলে ভূগর্ভস্থ জলের দূষণ হবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের রাজ্যস্তরের ওই বিশেষজ্ঞ দল হুগলি জেলায় সুপারিশ করছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট গভীর, ৮ ফুট লম্বা এবং ৫ ফুট চওড়া ‘ফিল্টার চেম্বার’-এর।
এ দিকে, জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতের কিছু জায়গা থেকে পাঠানো ডিপিআর তথা বিস্তারিত প্রকল্প পরিকল্পনা অনুমোদন এবং দরপত্র ডেকে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে অধিকাংশ ডিপিআর পাঠানো হলেও সেগুলি জেলার অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। শনিবার তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসনের তরফের বৈঠক ডেকে সেই সমস্ত ডিপিআর পরিবর্তন করে নতুন করে পাঠাতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েতগুলিকে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তহবিল এবং স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের তহবিলের কাজগুলি দ্রুত রূপায়ণের লক্ষ্যে ওই বৈঠকে জেলার সমস্ত মহকুমাশাসক, বিডিও এবং পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কদের ডাকা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রবিবার মধ্যে ধূসর জল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ডিপিআরগুলি পরিবর্তন করে পাঠানোর।
অন্য দিকে, রাতারাতি এই কাজের চাপ নিয়ে ফের অনিয়মের আশঙ্কা করছেন জেলার নির্মাণ সহায়কেরা। তাঁদের অভিযোগ, একশো দিন কাজ এবং আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্য প্রথম হওয়ার তাগিদে তাঁদের এ ভাবেই চাপ দিয়ে বেশ কিছু নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হয়েছে। সেই মাসুল এখন দিতে হচ্ছে জেলা তথা রাজ্যবাসীকে।
তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “এ বার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রূপায়ণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। ভবিষ্যতে তহবিল খরচ নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয়, সে জন্য বিশেষজ্ঞ দল এসে সামান্যতম ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ তিনি জানান, ধূসর জল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রাজ্য বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পের নকশার সামান্য অদল-বদল হবে মাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy