—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বার আলু চাষেও বিমার প্রিমিয়াম টাকা দেবে রাজ্য সরকার দেবে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে এই ঘোষণায় হুগলির আলুচাষিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে, একইসঙ্গে বিমা বাবদ প্রকৃত ক্ষতিপূরণ কতটা মিলবে তা নিয়ে সংশয়ও যাচ্ছে না তাঁদের। তাঁদের দাবি, বাজেটে ক্ষতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা হয়নি।
হুগলির মূল অর্থকরী ফসল আলু। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা রোগ-পোকার আক্রমণে সেই ফসলের ক্ষয়ক্ষতিতে হামেশাই বিপর্যস্ত হন চাষিরা। বিভিন্ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া ওই চাষিরা বিমার ক্ষতিপূরণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময়েই যে ক্ষতিপূরণ মেলে তা ক্ষতিগ্রস্ত অনেক চাষি পান না বা পেলেও ক্ষতির অঙ্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
চাষিদের মধ্যে আরামবাগের রামনগরের বিদ্যপতি বাড়ুই বলেন, “এতদিন আলু চাষের ক্ষেত্রেই ঋণের উপর শতকরা ৪ টাকা ৮৫ পয়সা হারে প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছিল চাষিকে। এ নিয়ে অনেক চাষিরই ক্ষোভ ছিল। অবশেষে ভোটের মুখে তা সরকারি স্তরেই মেটানো হবে বলা হয়েছে। এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে চাষিদের কিছুটা সুরাহা হবে।”
চাষিরা জানান, এর আগে কখনও রাজ্য বাজেটে আলু চাষের বিমার জন্য টাকা বরাদ্দ হত না। সে দিক দিয়ে এই পদক্ষেপকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। বিমার ক্ষতিপূরণ পেতেও দেরি হবে না বলে তাঁরা মনে করছেন। তবে, পুরশুড়ার কেলেপাড়ার বাপ্পাদিত্য ধোলে, ধনেখালির দশঘরার শেখ নিজামুদ্দিন প্রমুখ চাষির প্রশ্ন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে এই বাজেট বরাদ্দের সত্যিই সুফল মিলবে তো?
চাষিদের অভিযোগ, এখন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ণে উপগ্রহ চিত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। এতে অনেক সময়েই যথাযথ ক্ষতিপূরণ মেলে না, এমনকি একেবারেই ক্ষতিপূরণ না মেলারও প্রচুর নজির রয়েছে।
বিরোধীরা এই সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও প্রশ্নও তুলেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার চাষির অংশ দিলে ভাল। কিন্তু চাষি আদৌ ক্ষতিপূরণ পাবেন তো? কারণ অতীতে আলু চাষে যা ক্ষতি হয়েছে, চাষিরা তা পাননি। বিমা সংস্থা চাষিদের প্রিমিয়ামের টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার উদাসীন।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, “বাজেট তো অনেক হয়েছে। কতটা তা রূপায়ণ হয়েছে? পুরোটাই জল, সবটাই ভোটকে সামনে রেখে করেছে। ভোটের পর ভুলে যাবে।’’
কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না অবশ্য বলেন, “এ বারে আলুর জন্য স্পেশাল বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। চাষিদের আর বিমার প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হবে না। রাজ্য সরকার দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy