Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Firecrackers

দীপাবলির আগে সাঁকরাইলে উদ্ধার প্রায় সাড়ে ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি, ধৃত ১

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উত্তমের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই বাড়ি থেকে বাজি তৈরির প্রচুর মশলা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বাজি।

পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বাজি। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০১:০৩
Share: Save:

কালীপুজোয় শুধুমাত্র সবুজ বাজি ব্যবহারের নির্দেশ আগেই দিয়েছে প্রশাসন। তবুও লুকিয়েচুরিয়ে বেআইনি ভাবে বাজি পাচার, মজুত ও বিক্রি অনেক জায়গায় চলছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, দীপাবলির আগে সেই বেআইনি বাজি আটক করতে পুলিশের অভিযানও অব্যাহত। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ার সাঁকরাইল থানার মাসিলা মণ্ডলপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। ধৃতের নাম উত্তম মণ্ডল।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উত্তমের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই বাড়ি থেকে বাজি তৈরির প্রচুর মশলা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এমনকি, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই অভিযুক্ত দীর্ঘ দিন ধরে নিজের বাড়িতে বিপুল শব্দবাজি মজুদ করে রেখেছিলেন। সামনেই রয়েছে দীপাবলি ও ছট পুজো। সেই সময় প্রচুর চাহিদা থাকে বাজির। সেই উৎসবে বাজি বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন উত্তম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

এর আগে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর পরই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতে কড়া মনোভাব নেয় রাজ্য। কালীপুজোর আগে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।

হাওড়া সিটি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শবরী রাজকুমার বলেন, “প্রশাসনের তরফ থেকে বার বার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে, নিষিদ্ধ বাজি যেন কেউ তৈরি না করেন। বাজারে যেন সে সব বিক্রি না করা হয়। এ ধরনের বাজি শব্দ ও বাতাসে দূষিত করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বেআইনি কাজ করে থাকেন। এটা রুখতে পুলিশের অভিযান চলবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Firecrackers Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE