ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে তপন মালিকের (ইনসেটে) দেহ। ছবি: তাপস ঘোষ।
বাড়ির কাছেই মাঠ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের দেবীপুরে। মৃতের নাম তপন মালিক (৩০)। তার বাড়ি দেবীপুরের প্রান্তিকে। তিনি দিনমজুর ছিলেন। আত্মীয়দের অভিযোগ, এক ব্যক্তির ছাগল চুরির অভিযোগ তুলে তপনের দুই বন্ধু তাঁকে মারধর করে। তার জেরেই তিনি মারা গিয়েছেন।
চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যুবকের পরিবারের তরফে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ছোট্টু ও ন্যাড়া নামে তপনের দুই প্রতিবেশী বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তপনের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ছোট্টু ও ন্যাড়া তাকে বাড়ি থেকে ডেকে মদের আসরে নিয়ে যায়। সেখানে মদ খাইয়ে তপনকে মারধর করা হয়। বেশি রাতেও বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়েরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে মাঠে দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সারা দেহে মারধরের চিহ্ন ছিল। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তপনের বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির ছাগল হারিয়ে যায়। ছাগল মালিকের ধারণা হয়, তপন সেটি চুরি করে বেচে দিয়েছেন। সেই নিয়ে তপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তপন জানিয়েছিলেন, ওই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। কিন্তু এর পরেও সোমবার ওই অভিযোগেই তপনকে মারধর করা হয় বলে তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ।
নিহতের মা রীতা মালিক বলেন, ‘‘ছাগল চুরি নিয়ে মিথ্যা অপবাদে ছেলেকে নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হল। তাতেই ছেলে মারা গিয়েছে। যারা আমার নিরীহ ছেলেকে মেরেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy