আদালতের পথে ধৃতেরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ব্যান্ডেলের গ্রিন পার্কের একটি ফ্ল্যাট থেকে ছয় বাংলাদেশি যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা পুলিশের কাছে দাবি করেছে, দুবাইতে কাজ দেওয়ার নাম করে দালাল চোরাপথে তাদের এ রাজ্যে এনেছে। নাম ভাঁড়িয়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো এ দেশের পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দেয় দালাল। ফ্ল্যাটের মালিক আকাশ দাসই দালাল বলে তাঁদের দাবি।
আকাশ নদিয়ার হালিশহরের বাসিন্দা। বাংলাদেশি যুবকদের রাখার জন্যই ব্যান্ডেলের ফ্ল্যাটটি সে কিনেছিল বলে চন্দননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘দালালের খোঁজ মেলেনি। তাকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’ শনিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক প্রত্যেককে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রিন পার্কের একটি আবাসনের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে বেশ কিছু দিন ধরেই ওই ছয় যুবক থাকছিল। এলাকায় তারা মেলামেশা করত না।
তাদের দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের কৌতূহল জাগে। এ নিয়ে এলাকায় চর্চাও ছিল। বিষয়টি পুলিশেরও কানে যায়।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রুহুল আমিন ওরফে বিশ্বজিৎ মণ্ডল, সোহেল রানা ওরফে রতন মণ্ডল, মৃদুল ব্যাপারী ওরফে মৃদুল দাস, মিঠুন দাস এবং তাপস দাস। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, দুবাইয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের পাঁচ জনকে পেট্রাপোল এবং এক জনকে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে এ দেশে আনা হয়েছে। এ জন্য দালালকে
তারা মোটা টাকা দিয়েছে। দালালই তাদের এ দেশের পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দেয়। দুবাইতে চাকরি অথবা টাকা ফেরতের দাবি জানালে আকাশ তাদের হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় কাপড়ের দোকান বা মুদিখানায় কাজে লাগিয়ে দেয়। তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের বক্তব্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অনুপ্রবেশের পিছনে থাকা চক্রে ঠিক কত জন জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সবাইকেই ধরা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy