কিছু দিন আগে পর্যন্ত সাজগোজের ‘পাউচ’ ব্যাগে ফেসওয়াশের ছোট একটা টিউব থাকত। বাড়ির বাইরে কোথাও মুখ ধোয়ার প্রয়োজন হলে সেটি কাজে লাগত। কিন্তু হাতের কাছে জল না থাকলে কী হবে? তাই এখন ছবিটা খানিক বদলে গিয়েছে। ব্যাগে ভিজে ওয়াইপ্সের একটা প্যাকেট রাখছেন অনেকেই। যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ওয়াইপ্স বার করে মুখ মুছে নেওয়া যায় সহজেই।
অনেক সময়ে এক বার ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মুখ পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। কিন্তু ওয়াইপ্স দিয়ে মুছলে মুখে জমা তেল, ময়লা, ধুলো, মেকআপ সবই উঠে আসে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তা হলে ওয়াইপ্স কি ফেসওয়াশের বিকল্প হতে পারে? ত্বকের জন্যই বা কোনটি ভাল?
আরও পড়ুন:
রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আগে বুঝতে হবে, প্রয়োজনটা ঠিক কী। যদি রোজের সাধারণ মুখ ধোয়ার কথাই ওঠে, তা হলে ফেসওয়াশই সবচেয়ে ভাল। কিন্তু ওয়েট ওয়াইপ্স রোজের ব্যবহারের জন্য নয়। এক বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চর্মরোগ চিকিৎসক স্বাতী আগরওয়াল বলেন, “খুব প্রয়োজন পড়লে কিংবা হাতের কাছে জল, ফেসওয়াশ না থাকলে বিকল্প হিসাবে ওয়াইপ্স ব্যবহার করা যায়।”
ফেসওয়াশের কাজটি ঠিক কী?
মুখে জমা তেল, ধুলো-ময়লার পরত সরিয়ে ফেলার সহজ পন্থা হল মুখ ধুয়ে ফেলা। তবে শুধু জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুলে তো হবে না। তখন প্রয়োজন পড়ে সাবানের। মুখের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই ক্ষারযুক্ত সাবান এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা চলে না। তরল সাবান বা মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে সহজেই মুখ ধোয়া যায়। ত্বকের রন্ধ্রে জমা তেল, সেবাম সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে পারলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেড্স, হোয়াইটহেড্সের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাজারে নানা ধরনের ফেসওয়াশ কিনতেও পাওয়া যায়। তার মধ্যে থেকে ভাল একটি বেছে নিলেই হল।
আরও পড়ুন:
ওয়েট ওয়াইপ্স ব্যবহার করবেন কেন?
ওয়েট ওয়াইপ্স বা মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি ভিজে তোয়ালে ব্যবহার করে মুখ মুছে নেওয়া সমস্যার নয়। বরং হাতের কাছে জল, সাবান না থাকলেও এক টানে মেকআপের পরত, তেল-ময়লা দ্রুত তুলে ফেলতে এই ওয়াইপ্স বেশি কাজের। কিন্তু এগুলি ঘন ঘন ত্বকে ব্যবহার করার জন্য নয়। মুখ পরিষ্কার হলেও এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।