Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Blast Case

গুদামে অবৈধ ভাবে গ্যাস ভরতে গিয়ে বিস্ফোরণ, আহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকড়ার দোতলায় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি গুদামে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার কাজ চলছিল। সেই সময়ে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গুদামের পার্শ্ববর্তী এলাকা।

An image of blast

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪০
Share: Save:

বেআইনি ভাবে গ্যাস ভরার সময়ে সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে আহত হলেন এক ব্যক্তি। রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়ার দোতলা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম মনোজ সাউ। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকড়ার দোতলায় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি গুদামে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার কাজ চলছিল। সেই সময়ে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গুদামের পার্শ্ববর্তী এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ওই গুদামের পাঁচিল-সহ পাশের বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে পড়ে। এলাকার লোকজন ভূমিকম্প হচ্ছে ভেবে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। পরে জানা যায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা। স্থানীয় মানুষই ওই গুদাম থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। খুব সন্তর্পণে এই কাজ চলত বলে এলাকাবাসীর কাছে এই কাজের খবর আগে থেকে ছিল না। এক বাসিন্দা সিরাজ মল্লিক বলেন, ‘‘মাস দুয়েক আগে গুদামটি ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু গুদামের ভিতরে যে অবৈধ ভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হত, তা জানতাম না। ওই লোকটি যন্ত্রপাতি মেরামতির কাজকর্ম করতেন বলেই জানতাম। যা ঘটেছে, তাতে পুরো বাড়িটাই উড়ে যেত।’’ বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই ঘটনায় আরও এক জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁর মাথায় ও হাতে লেগেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সিলিন্ডারে অবৈধ ভাবে গ্যাস ভরার কাজ কী ভাবে চলছিল, জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আহত ব্যক্তি কিছুটা সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Blast godown Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE