Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Ghatal Master Plan

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বাদ কেন আরামবাগ, ক্ষোভ

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থ সামাজিক এবং বন্যার উৎসের কিছু পরিবর্তনের নিরিখে ২০১১ সালে নতুন মাস্টার প্ল্যান রচনার সময় আরামবাগ মহকুমা বাদ পড়েছে।

dev

দেব। —ফাইল চিত্র।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৩
Share: Save:

নির্বাচন এলেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা সামনে আসে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেও এল। সোমবার আরামবাগে হুগলি জেলার প্রশাসনিক সভায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের তারকা-সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী ওই প্রকল্প রূপায়ণের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কেন্দ্রের অপেক্ষায় বসে না থেকে ১২৫০ কোটি টাকা দিয়ে রাজ্যই কাজ করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন।

তবে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রশ্ন তুলছেন। বাম আমলে ১৯৮২ সালে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল। প্রকল্পটি কার্যকর করার দাবি দুই মেদিনীপুর এবং পার্শ্ববর্তী আরামবাগ মহকুমার মানুষের দীর্ঘদিনের। ঘটনা হচ্ছে, প্রকল্পের সূচনায় দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, গোঘাট, আরামবাগের বেশ কিছু এলাকা ধরা ছিল। ২০১১ সাল এই মহকুমাকে প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আরামবাগবাসীর বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষত গোঘাটের দু’টি ব্লক, খানাকুল-২ এবং আরামবাগ ব্লকের একাংশের মানুষ বিভিন্ন কমিটি করে পরিকল্পনা সংশোধনের দাবি করেছেন।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থ সামাজিক এবং বন্যার উৎসের কিছু পরিবর্তনের নিরিখে ২০১১ সালে নতুন মাস্টার প্ল্যান রচনার সময় আরামবাগ মহকুমা বাদ পড়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সত্তরের দশক থেকেই ভোটের সময় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলি। এখন যদি আরামবাগ মহকুমা অর্থাৎ হুগলি জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ বাদ দিলে প্রকল্প করা হয়, তা হলে গোটা পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যাবে।

কেন?

মহকুমার অনেকের মতে, বাঁকুড়ায় বেশি বৃষ্টি হলে দ্বারকেশ্বর বা কংসাবতীর জল এসে আমোদর ও তারাজুলি খাল উপচে গোঘাটের দু’টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দেয়। ঘাটালের শিলাবতী এবং ঝুমি নদীর জলের চাপে সেই জল নামতে পারে না। উল্টে জলের চাপ গোঘাট ছাড়াও আরামবাগের সালেপুর ২ পঞ্চায়েত, খানাকুল-২ ব্লকের ধান্যগোড়ি, জগৎপুর, মাড়োখানা এবং খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর, ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত করে।

হুগলি সেচ দফতরের নিম্ন দামোদর বিভাগের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পে এই জেলায় কোনও কাজ নেই। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলাবতী এবং ঝুমি নদীর কাজ হলে আরামবাগ মহকুমার একাংশ সুফল পাবে। ওই দুই নদীর জলধারণ ক্ষমতা বাড়লে এখানকার জল দ্রুত নেমে বন্যাপ্রবণতা কিছুটা কমবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Ghatal Master Plan Dev TMC Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy