Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Arambagh CRPF

কিছু স্কুলে এখনও বাহিনীর অস্থায়ী শৌচাগার, ক্ষোভ

আরামবাগ পুর এলাকার চাঁদুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পুরসভায় অভিযোগ করে সাফাইয়ের দাবি করেছেন।

খোলা পড়ে শৌচালয়। আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলে।

খোলা পড়ে শৌচালয়। আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১০:০৬
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পরে মাস ঘুরতে চলল। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। ব্যবহারের জন্য সেখানে অস্থায়ী শৌচাগারও তৈরি করা হয়েছিল। সেই সব শৌচাগার এখনও কিছু স্কুল থেকে সরানো হয়নি। আবার কিছু জায়গায় সরালেও এলাকা পরিচ্ছন্ন করে আগের অবস্থায় ফেরানো হয়নি বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় মানুষের।

আরামবাগ পুর এলাকার চাঁদুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পুরসভায় অভিযোগ করে সাফাইয়ের দাবি করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্কুলের মাঠের একদিকে পাশাপাশি ৬-৭টি করে প্যান বসিয়ে শৌচাগার করা হয়েছে। সেই শৌচাগারের পিছনেই গর্ত করে মল ফেলার ব্যবস্থা হয়। বৃষ্টির জল জমে সেই মল ভাসছে।

প্রধান শিক্ষক সুদীপকুমার করণের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় এইসব শৌচাগার করা হয়। গত ২৩ জুলাই নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পরেও তা পরিষ্কার করা হয়নি। কাদের পরিষ্কার করার কথা, সেটাও প্রশাসনিক মহল থেকে পরিষ্কার জানা যায়নি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে জেরবার হয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছি।” ছেলেদের খেলাধুলোর যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য পুরো পরিকাঠামো সরিয়ে মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, “কাজটা জেলা প্রশাসন থেকে সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে দিয়ে করানো হয়েছিল। আমরা আপাতত নোংরা জলটা পরিষ্কার করে দিচ্ছি। কিন্তু ওই গর্তে বালি বা মাটি ফেলে বোজানো দরকার। যেটা আমাদের এক্তিয়ার নয়।”

আবার শৌচাগারের গর্ত বোজালেও প্যান তুলে না নিয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ আছে খানাকুলের জয়রামপুর হাই স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। প্রধান শিক্ষক সুদীপ পাল বলেন, ‘‘স্কুলের মাঠে ৪-৫টি শৌচাগার করা হয়েছিল। সেগুলির গর্ত বোঝানো হলেও পরিকাঠামো রয়ে গিয়েছে। তবে আমার নিজেরাই অনেকটা পরিচ্ছন্ন করে খেলাধুলো চালাচ্ছি।”

খানাকুলেরই পোল পিসি সেন হাই স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য পৃথক শৌচাগার না হলেও স্কুলের শৌচাগার এবং গোটা চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিত্যক্ত নানা জিনিস এখনও পড়ে আছে বলে খেদ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত অধিকারী। গোঘাটের নয়নতারা বালিকা বিদ্যালয় এবং খানাকুলের ঘোষপুর হাই স্কুলের অস্থায়ী শৌচাগারের পরিকাঠামো সরিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য পানীয় জল এবং শৌচাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। আরমবাগ মহকুমার স্কুলগুলির অপরিচ্ছন্নতার আভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মহকুমা বাস্তুকার সৌরভ বিশ্বাস বলেন, “যেসব স্কুলে এখনও শৌচাগার বা পানীয় জলের পরিকাঠামো থেকে গিয়েছে তা আমরা দফায় দফায় সরিয়ে নিচ্ছি”।

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy