—প্রতীকী চিত্র।
মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে হাতের শিরা কেটে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বৃদ্ধা মা। শুক্রবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির কোন্নগর ক্রাইপার রোড সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম বিপাশা মুখোপাধ্যায়। ৩৫ বছরের বিপাশার মা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোন্নগর ক্রাইপার টোডের একটি আবাসনে বছর সাতেক একটি ফ্ল্যাট কিনে বসবাস শুরু করে মুখোপাধ্যায় পরিবার। বাবা-মা এবং মেয়ে— তিন জনের সংসারের কর্তা বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। কৃষ্ণা বাড়িতে থাকেন। দম্পতির একমাত্র কন্যা ছিলেন বিপাশা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বুদ্ধদেব বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। এখন তিনি শয্যাশায়ী। তাঁর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলে।
শুক্রবার সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিপাশা। মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে কৃষ্ণা নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন। আবাসনের সাফাইকর্মীরা মা এবং মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে আবাসনের অন্য লোকজনকে খবর দেন। এর পর প্রতিবেশীদের কয়েক জন কৃষ্ণাকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়ার মহামায়া হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ওই আবাসনে যায় কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ। তারা বিপাশার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বিপাশা। ওই আবাসনের বাসিন্দা দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বাবা-মা এবং মেয়ে থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। ওঁরা নিজেদের মতোই থাকতেন। কারও সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। দু’দিন ধরে ভদ্রলোক খুবই অসুস্থ। তাঁকে নিয়ে ছোটাছুটি চলছে জানতাম। আজ সকালে শুনলাম, ওঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এবং সেটা দেখে মা হাতের শিরা কেটে ফেলেন।’’ তিনি জানান, ওই আবাসনে এক জন চিকিৎসক থাকেন। তিনিই কৃষ্ণার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তার পর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঠিক কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy