প্রতীকী ছবি।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এলে বেশি করে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু তার পরেও সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা হাওড়া জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যন্ত পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) এবং নিওনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু)— কিছুরই প্রস্তুতি নেই। ফলে ওই জেলায় শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে প্রশাসনিক কর্তাদের।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব হাসপাতালে সিসিইউ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে, সেখানেই ৪-৫টি শয্যা নিয়ে তৈরি করা হবে শিশুদের কোভিড কেয়ার ইউনিট। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের বক্তব্য, পিকু বা নিকু না থাকলে কোভিড আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অনেকটাই ঝুঁকি থেকে যাবে।
সরকারি স্তরে সিসিইউ শয্যা বাড়িয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির উপরে কোভিড চিকিৎসার নির্ভরতা কমাতে আগেই উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এখন যেখানে ৫০টি কোভিড সিসিইউ শয্যা আছে, তা বাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি করার কাজ চলছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাওড়ার প্রধান কোভিড হাসপাতাল বালিটিকুরি ইএসআই-তে সিসিইউ শয্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫টি করা হচ্ছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ২০টি সিসিইউ শয্যা তৈরির কাজ শেষের পথে। সেখানে আরও ১০টি এইচডিইউ শয্যা বাড়ানো হবে। অন্য দিকে, উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ১০টি এবং টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে ১০টি সিসিইউ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সিক নেওনেটাল কেয়ার ইউনিট থাকলেও পিকু বা নিকু নেই। সে ক্ষেত্রে কোভিডে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা কী ভাবে হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সিসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়াচ্ছি, সেখানেই একটা অংশে ৫-১০টি শয্যাকে শিশুদের জন্য সিসিইউ কোভিড ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আমরা সব দিক থেকেই প্রস্তুত থাকব।’’
তিনি আরও জানান, তৃতীয় ঢেউ আসার অনেক আগেই হাওড়া জেলা হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে শিশুদের জন্য কোভিড সিসিইউ তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।
তবে বর্তমানে জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে সিসিইউ শয্যা রয়েছে, সেখানে শিশুদের রেখে চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন জেলার চিকিৎসকদের একাংশ। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বললেন, ‘‘জেলা হাসপাতালগুলিতে পিকু বা নিকু তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠিক কী আকার নেবে, তা এখনই যে হেতু বলা যাচ্ছে না, তাই হাওড়ায় ৪০০ থেকে ৫০০টি শিশুর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো অবিলম্বে গড়ে তোলা প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy