কামারকুণ্ডুর হোমে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্রa
হাওড়ার লিলুয়ায় সরকারি হোমে অনেক বাংলাদেশি নাবালক রয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে মনে করছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
সোমবার ওই হোম পরিদর্শন করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন কমিশনের সদস্য (শিশু স্বাস্থ্য, যত্ন ও কল্যাণ) দিব্যা গুপ্ত। সীমান্ত পার করে ভারতে আসা শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কতটা চিন্তিত, তা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন তিনি। ওই নাবালক আবাসিকদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। পরে দিব্যা বলেন, ‘‘ওরা বাড়ি ফিরতে চায়। ওদের ফেরত পাঠাতে আমাদের সরকার যতটা উদ্যোগী হবে, ততটা বাংলাদেশের সরকারকেও হতে হবে।’’
দেশে সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালিত হোমে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের নির্দেশিকা কতটা মানা হচ্ছে, সে বিষয়েই পরিদর্শন শুরু হয়েছে বলে জানান দিব্যা। তাঁর কথায়, ‘‘অনুপ্রবেশকারী হওয়া সত্বেও আমরা তাদেরথাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছি।বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের সরকারের কাছে আবেদন করে নিজেদের দেশের বাচ্চাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।’’
লিলুয়া হোমে আবাসিকদের অযত্ন-সহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিব্যার দাবি, পরিস্থিতি মোটের উপরে সন্তোষজনক। তবে, কয়েকটি বিষয় তাঁর চোখে ধরা পরলেও প্রকাশ্যে বলতে চাননি। সরকারি এই হোমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না-থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন দিব্যা। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকলেও তার প্রভাব বাচ্চাদের উপরে যেন না পড়ে, তা খেয়াল রাখতে হবে।’’
এ দিন হুগলির কামারকুণ্ডুর একটি বেসরকারি ‘অবজ়ার্ভেশন হোম’ও পরিদর্শন করেন দিব্যা-সহ কমিশনের দুই প্রতিনিধি। পরিকাঠামোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য ও জেলার সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা।
কমিশন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী যাবতীয় পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা দেখতে হোম চত্বর ঘুরে যাবতীয় ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। হোমে এ দিন ১০ জন শিশু আবাসিক ছিল। হোম কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তাদের সঙ্গেও কথা বলেন দিল্লি থেকে আসা ওই দুই আধিকারিক।
বেরোনোর সময় দিব্যা বলেন, ‘‘এই হোমে প্রচুর সমস্যা রয়েছে। সেগুলি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লিতে ফিরে হোম কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। সরকারি সহযোগিতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোমটি চালাচ্ছে। সব নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত। সংগৃহীত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
হোমের সুপার উমেশচন্দ্র ঘোষালের দাবি, ‘‘আমাদের তরফে খামতির কোনও ব্যাপার নেই। কোনও গাফিলতি আছে বলেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা আমাদের কিছু বলেননি। শুধু, হোমের উন্নতির জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy