মোটরভ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিলিন্ডার। মুম্বই রোডে। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় মোটরচালিত ভ্যানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পরিবহণ দফতরের। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল বেরিয়ে হাওড়া জুড়ে অবাধে চলছে এই যান। এ বার সেই মোটর ভ্যানে চাপিয়ে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহেরও অভিযোগ উঠল। এর ফলে যে কোনও দিন বিপদের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন আর গ্যাসের ডিলাররা সব জেনেও চুপ করে রয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্যামপুরের এক ডিলার বলেন, ‘‘অনেকে বেশি সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটরভ্যানে তুলছে বলে শুনেছি। আমাদের তরফে বহু বার বারণ করা হয়েছে। পুলিশেরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের ট্রাফিকের এককর্তা বলেন, ‘‘মুম্বই রোডে এমন ভ্যান দেখলেই সতর্ক করা হয়। এ বার নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রয়োজনে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’’
গ্যাস সিলিন্ডারের বটলিং প্ল্যান্টে নানা সতকর্তা মেনে চলা হয়। সেখানে ইঞ্জিন চালিত গাড়ি ঢুকলে সাইলেন্সার পাইপে বিশেষ একটি যন্ত্র লাগানো হয়। যাতে ওই পাইপ থেকে ধোঁয়া বা আগুনের ফুলকি না বের হয়। প্ল্যান্ট থেকে যখন সিলিন্ডার ডিলারদের কাছে পৌঁছনো হয়, তখনও গাড়ির সাইলেন্সার পাইপে ওই বিশেষ যন্ত্র লাগানো থাকে। অথচ এই ইঞ্জিন ভ্যানে তেমন কোনও ব্যবস্থাই
থাকে না।
উলুবেড়িয়া বটলিং প্ল্যান্টের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পায়ে টানা ভ্যান, সাইকেল বা চার চাকা ছোট গাড়ি করে বাড়ি বাড়ি সিলিন্ডার পৌঁছনোর কথা। মোটর ভ্যানের করে সিলিন্ডার পৌঁছনোর অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’’
বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত পরিবেশকর্মীরাও। শুভদীপ ঘোষ নামে এক কর্মীর কথায়, ‘‘প্রথমে গ্যাস সংস্থাগুলিকে নজরে রাখতে হবে কী ভাবে সেগুলি বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। ডিলাররাও তাঁদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। কড়া হোক প্রশাসনও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy