Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Chhattisgarh High Court

মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম কি ধর্ষণ? রায় দিল ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট, সঙ্গে আর কী কী পর্যবেক্ষণ আদালতের

নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। নাবালিকার মৃত্যুর পরেও তাঁর সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে মামলাটি ওঠে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯
Share: Save:

মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম একটি অতি ভয়ঙ্কর অপরাধ। তবে এটিকে আইনত ধর্ষণ বলা যায় না। এমনকি পকসো আইনের আওতাতেও পড়ে না। সম্প্রতি এক মামলার পর্যবেক্ষণে এ কথা জানিয়েছে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, সাবেক ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে আদালত।

নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের একটি মামলার শুনানি চলছিল হাই কোর্টে। নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ লিখেছে, মৃতদেহকে ধর্ষণের ঘটনা একটি অতি ভয়ঙ্কর অপরাধ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সাবেক ভারতীয় দণ্ডবিধি কিংবা পকসো আইনের ধারায় এই অপরাধের জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আইনত, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময়ে নির্যাতিতার জীবিত থাকা প্রয়োজন। তবে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুই অভিযুক্তই যে দোষী, তাতে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

মামলাটি প্রথমে ছত্তীসগঢ়ের এক নিম্ন আদালতে বিচারাধীন ছিল। নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। ওই ঘটনায় নির্যাতিতাকে খুনের পরেও ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। নিম্ন আদালত মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। দ্বিতীয় জনকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ-সহ বেশ কিছু ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। নাবালিকার মৃত্যুর পর তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল দ্বিতীয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যদিও ওই অভিযোগটি আগেই খারিজ করে দিয়েছিল নিম্ন আদালত।

নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তেরা। তাতে নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রমেশ সিংহ এবং বিচারপতি বিভু দত্ত গুরুর বেঞ্চে। মৃতদেহকে ধর্ষণের প্রসঙ্গটিও ওঠে হাই কোর্টে। তবে এ ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালত যা জানিয়েছিল, তাতে কোনও বদল আনেনি হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, উভয়েই যে অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Chhattisgarh POCSO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy