টাঙানো হয়েছে এরকমই পোস্টার। — নিজস্ব চিত্র
একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য ব্যাঙ্ক। এই সংযুক্তিকরণের ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রামবাসী। এমন অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের রসপুর পঞ্চায়েতে। অভিযোগ, এই পঞ্চায়েত এলাকার উপভোক্তারা যে সব সরকারি ভাতা পান, সেগুলি আটকে গিয়েছে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরিও পাচ্ছেন না জবকার্ডধারীরা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই ভোগান্তি শুরু হয়েছে বলে উপভোক্তাদের দাবি।
সমস্যা কোথায়?
এই পঞ্চায়েত এলাকায় ওই সব পরিষেবা মিলত এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে। এই ব্যাঙ্কটিকে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার সময়ে গ্রাহকদের যে আইএফএসসি কোড ছিল, নতুন ব্যাঙ্ক হওয়ায় ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তা পরিবর্তিত হয়েছে। এখানেই সমস্যা। কারণ, সরকারের তরফে যে পেনশন, ভাতা বা ১০০ দিনের কাজের মজুরি দেওয়া হয় তা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকাতে হলে আইএফএসসি কোডের উল্লেখ বাধ্যতামূলক। কিন্ত বহু গ্রাহক এখনও নতুন আইএফএসসি কোড পাননি বা পেলেও তা অ্যাকাউন্টে যোগ করাতে পারেননি। ফলে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না। শুধু তাই নয়, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই কারণে উপভোক্তাদের টাকা আটকে গিয়েছে।
ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখার আধিকারিকরা সাময়িক কিছু অসুবিধার কথা স্বীকার করছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে সব গ্রাহক ব্যাঙ্কে আসছেন, তাঁদের পাস বইয়ে নতুন আইএফএসসি কোড সংবলিত স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হচ্ছে। তাতেও তাঁদের সমস্যা মেটেনি বলে গ্রাহকদের একটা বড় অংশ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নতুন আইএফএসসি কোড তাঁরা পেলেও যেসব সূত্র থেকে ভাতা বা মজুরির টাকা আসছে সেখানে তা জানাতে হবে। সেই কাজটি হচ্ছে না।
ব্যাঙ্কের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ব্লক প্রশাসনের কাছেও উপভোক্তাদের পরিবর্তিত আইএফএসসি কোড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন কোড ব্যবহার করে ব্লক প্রশাসন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়ন্ত পোল্যে বলেন, ‘‘শুধু যে ভাতা প্রাপকরাই বিপাকে পড়েছেন তা নয়, আমাদের পঞ্চায়েতেরও অ্যাকাউন্ট এলাহবাদ ব্যাঙ্কে। আইএফএসসি কোডের যাঁতাকলে আমাদেরও টাকা আটকে গিয়েছে।’’ আমতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধনঞ্জয় বাকুলি বলেন, ‘‘আমরা সংশোধিত আইএফএসসি কোড উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছি। তবে কাজটি বেশ সময়সাপেক্ষ।’’ শুধু এই একটি পঞ্চায়েত নয়, এমন সমস্যা জেলা জুড়ে চলছে বলে জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন।
জেলা লিড ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, বিডিওদের বলা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত না নতুন আইএফএসসি কোড উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টের সাথে যোগ করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা পুরনো আইএফএসসি কোড ব্যবহার করে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy