আটকে রাখা হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের। নিজস্ব চিত্র
দুর্নীতির অভিযোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের তালাবন্ধ করে রাখলেন সদস্যরা। শুক্রবার উলবেড়িয়া-২ ব্লকের বাণীবন পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাণীবন মাতৃ বহুমুখী মহিলা সঙ্ঘ প্রাথমিক সমবায় সমিতি নামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এ দিন উপ-সংস্থা ‘শ্রীচৈতন্য সঙ্ঘ’-এর সদস্যাদের স্থানীয় সবিতা ভক্ত স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেকে সভার জন্য স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালন সমিতির নেত্রীরা। সঙ্ঘের মহিলাদের অভিযোগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী মনিকা সাঁতরা, মৌসুমী চৌধুরী, শুক্লা রায় দুর্নীতি করছেন। তাঁরা গোষ্ঠীর কোনও হিসাব দিচ্ছেন না। সব মহিলাদের ডেকে সাধারণ সভাও করছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রস্তাবনা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ‘সাধারণ সভা হয়ে গিয়েছে’ বলে জানানোর পরিকল্পনা করছেন। সেই কারণেই তাঁরা মহিলাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করাতে এসেছিলেন।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালন সমিতির সদস্যা ও বানিবন পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা মৌসুমী বর বলেন, ‘‘মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হচ্ছিল। মহিলারা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁদের তালাবন্ধ করে রাখেন। পরে যুব তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।’’ শ্রীচৈতন্য সঙ্ঘের সদস্যা সবিতা মাখাল বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী মনিকা সাঁতরা-সহ পরিচালন সমিতির কয়েক জন মহিলা টাকা নয়ছয় করেছেন। তাই তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল।’’
মনিকার অবশ্য দাবি, ‘‘কারও সই নিতে ওখানে যাওয়া হয়নি। গোষ্ঠীর মহিলাদের নানা কাজকর্ম থাকে। তা নিয়ে আলোচনার জন্যই যাওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের কিছু মহিলা দলেরই বিরোধিতা করছেন। তাঁরাই সমস্যা সৃষ্টি করছেন।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, ‘‘এটা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের নিজেদের ঝামেলা। এর সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়। দু’পক্ষকে ডেকে আমরা সমাধান করে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy