ধুন্ধুমার: চলছে অবরোধ। ইনসেটে সুদীপ্ত দুয়ারি। ছবি: দীপঙ্কর দে।
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির ডানকুনি। অবরোধ, পুলিশের লাঠি, গাড়ি ভাঙচুর— কিছুই বাদ গেল না।
এ দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া একটি নয়ানজুলি থেকে সুদীপ্ত দুয়ারি (২২) নামে ওই যুবকের দেহ মেলে। ডানকুনির স্বরূপনগরে তাঁর বাড়ি। পুলিশের মারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দেহ আটকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা অবরোধে শামিল হন। পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের হটিয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের দু’টি গাড়ি, একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করে।
পুলিশ লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে সাত জনকে আটক করা হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (শ্রীরামপুর) অরবিন্দকুমার আনন্দ বলেন, ‘‘কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। তারও তদন্ত করা হচ্ছে।’’
সুদীপ্ত আদি সপ্তগ্রামের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানান, তিনি মঙ্গলবার সারা রাত বাড়ি ছিলেন না। বুধবার ডানকুনি থানার কাছে সার্ভিস রোডের পাশের একটি জলাশয়ের পাড়ে তাঁর মোবাইল ও জুতো পাওয়া যায়। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ জলাশয় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এর পরই বিক্ষোভ শুরু হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করা হয়। তার জেরে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। অবরোধ ওঠার পরে সুদীপ্তের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফির দাবি জানায় তাঁর পরিবার।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সুদীপ্ত এক প্রতিবেশী-বন্ধুর শোভন অধিকারীর মোটরবাইক নিয়ে বের হন। সারারাত বাড়ির পাশে একটি ক্লাবে ছিলেন। ভোরে ডানকুনিতে কফি খেতে যান। চারটে নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে হাউজিং মোড়ে এক ট্রাক-চালকের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না।’’
মৃতের পরিবারের অবশ্য অভিযোগ, ভোরে বাড়ি ফেরার সময় সুদীপ্ত এবং শোভনকে ডানকুনি থানার পুলিশ মারধর করে। শোভন পালান। সুদীপ্তের দাদা সুপ্রিয় দুয়ারির অভিযোগ, ‘‘পুলিশ মেরে ভাইকে জলে ফেলে দিয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy