চর কেটে মাটি তোলা হয়েছে। বাগনান-২ ব্লকের গদাইপুরে। নিজস্ব চিত্র ।
শ্যামপুরের বাড়গড়চুমুক, বোয়ালিয়ার পরে এ বার বাগনান-২ ব্ল
কের গদাইপুর।
ফের হাওড়া জেলার এক প্রান্তে দামোদরের চর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, এ ভাবে চর থেকে মাটি কাটা হলে কিছুদিনের মধ্যে দামোদরের গতিপথ বদলে যাবে। গ্রামবাসীরা জানান, মাটি কাটার পরে দামোদরের চরেই তা ডাঁই করে রাখা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে লরি বা ছোট পণ্যাবাহী গাড়িতে করে তা বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরাও
সরব হয়েছে।
ওই এলাকার এক প্রবীণ বলেন, ‘‘যে ভাবে চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, এখনই বন্ধ না হলে দামোদরের বাঁধের ক্ষতি হবে। আস্তে আস্তে দামোদর গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে।’’
গদাইপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরিফুল মল্লিক নামে এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধেই। শনিবার দামোদরের চরে ডাঁই করে রাখা মাটির ছবি তুলতে যেতেই ছটে আসেন আরিফুল। ক্যামেরা থেকে ছবি মুথে দেওয়ার জন্য শাসান। পরে তিনি মাটি কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘এই মাটি আমার ইটভাটায় লাগে। বিধায়ক অরুণাভ সেন জানেন। আমার নিজের সম্পত্তি থেকে মাটি কেটে জড়ো করেছি। বিধায়ক বলেছেন, সরিয়ে নিতে।’’ দামোদরের চর তাঁর সম্পত্তি কী করে হল, সে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি আরিফুল।
বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক ভূমি আধিকারিক অনিন্দ্যসুন্দর ঘোষ। গদাইপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রণজিৎ জানা মানছেন, ‘‘এক শ্রেণির মানুষ শাসকদলের নাম ভাঙিয়ে দামোদরের চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে।’’ এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে তাঁর দাবি। বাগনান বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি নয়ন হালদার বলেন, ‘‘আরিফুল নামে কাউকে চিনি না। যদি সে বিধায়কের নাম নিয়ে থাকে, তা হলে তদন্ত হবে। পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানাব।’’
বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘এখন যত চোর-ডাকাত রয়েছে, সকলে তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে। দল এদের চেনে না। এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই। তৃণমূল এই সব চোর-ডাকাতদের প্রশ্রয় দেয় না। বিষয়টি জানা রইল। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
তবে, এ নিয়ে বিরোধীরা মুখ খুলেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা স্বরূপ খাঁড়া বলেন, ‘‘গদাইপুর থেকে প্রতিদিন রাতে বেশ কিছু ট্রাক মাটি ও বালি বোঝাই করে বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা প্রশাসনের নিচুতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত সকলেই জানে। শাসকদলের মদত ছাড়া এ কাজ হতে পারে না। সব জায়গাতেই সেটিং করা আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy