মৎস্যজীবি দিবস উপলক্ষে চুঁচুড়ার মিন ভবনে চারা মাছ ছাড়ছেন হুগলি জেলাপরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রশাসনিক ভাবে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্তকরণ শুরু হয়। এর জন্য আবেদনের ভিত্তিতে মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র অর্থাৎ ‘ফিশারম্যান রেজিস্ট্রেশন কার্ড’ (এফআরসি) দেওয়ায় জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে হুগলির জেলার ১৮টি ব্লক মিলিয়ে পরিচয়পত্র পেয়েছেন মাত্র ২৬ হাজার মৎস্যজীবী। বুধবার, চুঁচুড়ার ‘মীন ভবনে’ মৎস্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে আগামী ৩ মাসে প্রতি ব্লক থেকে ১০ হাজার করে পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) নির্মাল্য চক্রবর্তী।
১৯৫৭ সালে এই ১০ জুলাই এ দেশে প্রথম মাছের কৃত্রিম প্রজনন করা হয়। সেই কারণে দিনটি ‘মৎস্য দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তাই এ দিনের গুরুত্ব তুলে ধরে সব মৎস্যজীবীর কাছে পরিচয়পত্র নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। অনুষ্ঠানে জেলা মৎস্য দফতরের আধিকারিক ও কিছু মৎস্যজীবী উপস্থিত ছিলেন। জেলায় ‘এফআরসি’-র হাল নিয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী অত্যন্ত ক্ষুণ্ন বলে জানান নির্মাল্য। তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গোপসাগর লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের কথা ছেড়েই দিলাম, কোচবিহারের মতো জেলাও হুগলির চেয়ে অনেক এগিয়ে।’’
কেন হুগলিতে ‘এফআরসি’র সংখ্যা কম?
দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, প্রধান কারণ দু’টি। প্রথমত, প্রচারের অভাব। পরিচয়পত্রের বিষয়টি মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষই জানেন না। দ্বিতীয়ত, প্রতি ব্লকে থাকা একজন করে মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিককে (ফিশ এক্সটেনশন অফিসার বা এফইও) দিয়েই ব্লক প্রশাসনের অন্য কাজ করানো। অথচ, সরকারি নিয়ম বলছে এফইও-রা বাজারে ঘুরে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতেও যাবেন। কিন্তু অন্য কাজ করানোয় ওই কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy