ফাইল চিত্র।
পুরসভার কাছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে! ওই টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ শোধ করতেই হবে। নয়তো নিকাশি বা রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দেবেন না তাঁরা। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন হাওড়া পুরসভার ঠিকাদারেরা।
পুজোর আগেই রাস্তা মেরামত ও নিকাশির কাজ শেষ করতে ইচ্ছুক হাওড়া পুরসভা। কিন্তু বকেয়া টাকার একাংশও না মেটালে সেই ইচ্ছে পূরণ যে অসম্ভব, তা ঠিকাদারদের এ দিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট। ‘হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সিভিল কন্ট্র্যাক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে নতুন চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করা হয়। ঠিকাদারদের অভিযোগ, কাজ করেও দিনের পর দিন টাকা না পেয়ে পুরসভার কাছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া তাঁদের। সেই টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ না পেলে তাঁরা পুজোর আগে কোনও কাজ করবেন না। এ দিকে সুজয়বাবু জানান, ওই বকেয়া টাকার কতটা মেটানো যায়, তা নিয়ে পুর কমিশনার ও প্রশাসকমণ্ডলীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
নতুন প্রশাসকমণ্ডলী দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পুজোর আগে পুর এলাকার ভাঙাচোরা রাস্তার মেরামতি ও নিকাশির সংস্কার করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে ঠিকাদার সংগঠনের প্রতিনিধিরা দেখা করে তাঁদের দাবি পেশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার কিছু অফিসারের মর্জিতে যে টাকা দু’মাসে মেলার কথা, নানা টালবাহানার পরে সেই টাকাই দু’বছরে মিলছে।
সংগঠনের সম্পাদক মানসকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এ বার আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াও কোটি কোটি টাকার যে কাজ আমরা করেছি, সেই টাকাও যেমন পাচ্ছি না, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমোদিত জরুরি সংস্কারের টাকাও আটকে দেওয়া হয়েছে।’’ সংগঠনের প্রশ্ন, পুজোর আগে জরুরি ভিত্তিতে যে কাজের কথা বলা হচ্ছে, তার টাকাও যে পাওয়া যাবে সেই ভরসা কোথায়?
ঠিকাদারেরা এ কথা বললেও এ দিনই প্রশাসকমণ্ডলী বালি, উত্তর হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া ও মধ্য হাওড়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে বেহাল রাস্তা ও নিকাশির তালিকা তৈরি করেন। চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে একটি দল বালি গিয়ে বৈঠকও করেন এ দিন।
পুরসভায় ফিরে চেয়ারপার্সন জানান, আগামী শুক্রবারের মধ্যে ভাঙা রাস্তা ও জল জমা এলাকার তালিকা চূড়ান্ত করে ২৫ লক্ষ টাকার কাজ পাঁচ জনকে ভাগ করে দেওয়া হবে। এতে ই-টেন্ডারের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। ফলে কাজও তাড়াতাড়ি শুরু হবে। তার আগে ফের ঠিকাদারদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy