উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।
জেলবন্দি থেকেও অনুগামীদের দিয়ে সাম্রাজ্য চালাচ্ছিলেন হুগলির ‘ডন’ টোটন বিশ্বাস। শনিবার রাতে তাঁর গোপন ডেরায় হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হুগলির দুষ্কৃতী টোটনকে সম্প্রতি ইমামবাড়া হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল। সেই সময় টোটনকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে এক দল দুষ্কৃতী। এর পর নড়েচড়ে বসে চন্দননগর পুলিশ। দিন কয়েক আগে টোটোনকে এসএসকেএম থেকে চুঁচুড়া আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর অনুগামীরা প্রিজন ভ্যানের পিছু নেন। ওই ঘটনায় ডানকুনিতে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন টোটনের ভাই রূপচাঁদও। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আরও কয়েক জন দুষ্কৃতীর সন্ধান পায়। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকায় টোটনের বাড়ি। সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই গ্যাংয়ের অন্য দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। চুঁচুড়ার কোদালিয়াতেও আশ্রয় নেন কয়েক জন। খবর পেয়ে শনিবার রাতে মনসাতলার বাসিন্দা সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র। তার মধ্যে রয়েছে ৯ এমএম পিস্তল এবং পাইপ গান। উদ্ধার হয়েছে তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন এবং ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ। দুই কিলোগ্রাম বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হীরালাল পাসওয়ান ওরফে হিরুয়া, সুজিত মণ্ডল, সোমনাথ সর্দার ওরফে জিতু, বিকাশ রাজভড়, রবি পাসওয়ান ওরফে রবিয়া, নীল পাসওয়ান, সুকুমার মাঝি এবং সৌমিত্র কর্মকার ওরফে ফাটা। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে টোটনকে যখন চন্দননগর পুলিশ গ্রেফতার করে তখন পাওয়া যায় কার্বাইনের মতো আধুনিক অস্ত্রও। টোটনের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবু পাল-সহ পাঁচ জনকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy