হাওড়া পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
ত্রিফলার বাতিস্তম্ভ থেকে হুকিং হলেই এর রক্ষণাবেক্ষণকারী ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে এফআইআর করার নির্দেশ দিল হাওড়া পুরসভা। এ বিষয়ে পুরসভার ইলেকট্রিক্যাল বিভাগকেও সমস্ত সহযোগিতা করতে বলা হল।
পুর কর্তৃপক্ষের মতে, হুকিং করায় ত্রিফলার বাতিস্তম্ভ থেকে বিপজ্জনক ভাবে খোলা তার বেরিয়ে থাকে। বর্ষার জমা জলে তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। ত্রিফলা রক্ষণাবেক্ষণকারী সমস্ত ঠিকাদার সংস্থাগুলির সঙ্গে বুধবার পুরভবনে এক বৈঠক হয়। সমস্ত ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বর্ষার আগেই পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ওই বৈঠকে দিয়েছেন হাওড়া পুরসভা চেয়ারপার্সনসুজয় চক্রবর্তী।
গত বছর বর্ষায় পুরসভার সামনে জমা জলে দাঁড়িয়ে ত্রিফলায় হাত দেওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। সেই ঘটনা মনে রেখেই এ দিন ত্রিফলা রক্ষণাবেক্ষণকারী ন’টি ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধি, পুরসভার ইলেট্রিক্যাল দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও পুরসভার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুরসভার চেয়ারপার্সন। ওই বৈঠকে যে সব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা হল— হাওড়ায় ৪৮০০টি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ থেকে খোলা তার বেরিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে। ত্রিফলার কোনও লুপ বক্স খোলা থাকলে তা টেপিং করে দিতে হবে। বহু সময়ে দেখা যায়, ত্রিফলার উপরের দিকের পাইপের মুখ খোলা থাকে, সেখানে জল ঢুকে শর্ট সার্কিট হয়। তাই স্তম্ভগুলির মাথা ঢেকে দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, ত্রিফলার ‘আর্থিং’ পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয় ত্রিফলা থেকে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির সমস্যা নিয়েও। চেয়ারপার্সনের মতে, ‘‘ত্রিফলা থেকে হুকিং করায় খোলা বিদ্যুৎবাহী তার বেরিয়ে থাকে। বর্ষায় সেটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। জমা জলে বেসামাল হয়ে সেই খোলা তারে হাত লাগলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।’’ তিনি জানান, এ জন্য সমস্ত ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ত্রিফলা থেকে বিদ্যুৎ চুরি দেখলেই অভিযুক্ত সংস্থা বা মানুষের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy