ভাঙাচোরা: হাওড়া জেলা হাসপাতালের মূল ভবনের এমনই বেহাল দশা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
কোনও ওয়ার্ডে ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়ছে। কোথাও দেওয়ালের পলেস্তারা উঠে গিয়েছে। কোথাও আবার কার্নিসের দশা ভগ্নপ্রায়। বাইরে থেকে দেখলেই স্পষ্ট ছ’তলা ভবনটির জীর্ণ দশা। যে সে ভবন নয়। এটাই হাওড়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র, হাওড়া জেলা হাসপাতালের মূল ভবন এস এন দাস বিল্ডিং। এই ছবিটা পাল্টাতে প্রথম ধাপে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে হাওড়া জেলা হাসপাতাল সংস্কারের কাজ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সংস্কারের পরে বাড়ানো হবে শয্যা, মিলবে উন্নত মানের পরিষেবা।
বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৬৩৬। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, গোটা জেলা থেকে আসা রোগীদের চাপ সামলাতে অবিলম্বে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। তাই আগেই পৃথক একটি ১০০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক (সিসিবি) তৈরির অনুমোদন মিলেছে। তার পরে রাজ্য সরকার ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মূল ছ’তলা ভবনটি ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক মানের হাসপাতাল তৈরির জন্য।
হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতাল
সংস্কারের জন্য প্রথম ধাপে ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় হাওড়া জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। এর পরে উত্তর হাওড়ার টি এল জায়সওয়াল হাসপাতাল এবং গ্রামীণ এলাকার গাববেড়িয়া হাসপাতালের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের কাজে হাত দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য, সাধারণ মানুষকে এই হাসপাতালগুলি থেকে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই জেলা হাসপাতাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবা চালু রেখেই পুরো ভবনটির
কিছু কিছু জায়গা ঘিরে সংস্কারের কাজ করা হবে। ওয়ার্ডের মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়াল এবং ছাদ— সারাই করা হবে সব কিছুই। বসানো হবে টাইলস এবং মার্বেল। জেলা স্বাস্থ্য
দফতরের বক্তব্য, পুরো ভবনটির সংস্কার করতে ১০ মাস সময় লাগবে। এই কাজ করবে রাজ্য পূর্ত দফতর। তবে কাজ চলাকালীন রোগীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়,
সে দিকেও বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, জেলা হাসপাতালের ছ’তলা এই ভবনে জরুরি বিভাগ ছাড়াও রয়েছে মেল মেডিসিন, ফিমেল মেডিসিন, মেল সার্জিক্যাল, ফিমেল সার্জিক্যাল, প্রসূতি ও শিশুরোগ বিভাগ। রয়েছে বহির্বিভাগও। জানা গিয়েছে, পুরো ভবনটি সংস্কার করে ঢেলে সাজানো হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মূল ভবনটির সংস্কারের কাজ শেষ হলে পাশেই সাততলা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরির কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy