—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে চলে এসেছিল পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকা। ওই খাতে হাওড়া জেলায় এসেছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এ বার এই জেলার ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের জন্য সম পরিমাণ টাকা এল পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশন থেকেও। ফলে, চলতি অর্থবর্ষের এই শেষ পর্বে গ্রামোন্নয়নের কাজে গতি আসবে বলে মনে করছেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকেরা।
রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, শুধু হাওড়া জেলা নয়, রাজ্য জুড়েই পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে। পঞ্চায়েত সমিতি এতদিন খুব কম টাকা পেত। এ বারে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। তাই তাদের বরাদ্দও আগের বারের তুলনায় বেশি হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ওই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তা আরও জানান, এর আগে চারটি রাজ্য অর্থ কমিশন হয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ হয়েছে চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশন। ২০২১ সালে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশন গঠন করা হয়। তারা গত বারের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সেই কারণেই বরাদ্দ বেশি।
কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা বন্ধ করেছে। রাস্তা তৈরির কাজও কার্যত হচ্ছে না। ফলে, পঞ্চায়েতের হাতে কাজ নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা হাতে আসায় পঞ্চায়েতগুলির কাজের খরা কাটবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের একাংশ।
প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের ধাঁচেই প্রতিটি রাজ্যও তাদের অর্থ কমিশন গড়েছে। এ রাজ্যে ১৯৯৪ সালে অর্থ কমিশন গঠন হয়। এক-একটি কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছরের। এই পাঁচ বছরের প্রতি বছর পঞ্চায়েতগুলিকে তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা। তবে, সেই ধারাবাহিকতা বেশির ভাগ সময়েই থাকে না বলে মানছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।
কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের মতো রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকাও দেওয়া হয়েছে ‘টায়েড’ (শর্তাধীন) ও ‘আনটায়েড’ (নিঃশর্ত) খাতে। মূলত কঠিন বর্জ্যা ব্যবস্থাপনা, নিকাশি এবং রাস্তা তৈরিতে এই টাকা খরচ করতে হবে বলে হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এই জেলায় এক একটি পঞ্চায়েত রাজ্য অর্থ কমিশন থেকে পেয়েছে গড়ে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা করে। পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছে গড়ে এক কোটি টাকা করে।
বাগনান ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমি সেন বলেন, ‘‘কঠিন বর্জ্যত ব্যবস্থাপনা এবং নিকাশি নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি। বাকি কাজ শেষ করার জন্য রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা কাজেলাগানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy